লকডাউন নয়, সচেতনতাই সমাধান: নওশাদ জামিল

লকডাউন নয়, সচেতনতাই সমাধান: নওশাদ জামিল

Other

সত্যি কথা আমি লকডাউন নামক ‌‘নাটকের’ বিরোধিতা করি! হ্যাঁ। এখন আপনারা যারা স্টেটাস পড়ছেন, অনেকে গালমন্দ করবেন। গালমন্দ করেন। সমালোচনা করেন।

তারপর বলেন তো লকডাউন দিয়ে কোনো লাভ কী হচ্ছে? লকডাউন দিয়ে কোনো সমাধান কী হচ্ছে?

ইদানীং মনে হয় আগামী ২/১ বছর কোভিড থাকবে, বিভিন্ন জায়গায় করোনার প্রকোপ বাড়বে। কোথাও বাড়বে, কোথাও কমবে, এরকম দুয়েক বছর চলবে। বাংলাদেশ শুধু নয়, সারা পৃথিবীতে তা চলবে। এখন বলতে পারেন সংক্রমণ থেকে কীভাবে বাঁচবে মানুষ?

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শপিংমল, হাটবাজার, মিল-ইন্ডাস্ট্রি সব কিছু খুলে দিন।

সব কিছু খুলে দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মানার ওপর জোর দিন।   মাস্ক-গ্লাভস পরা বাধ্যতামূলক করেন। স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য কঠোর আইন করেন। আইন মানার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করেন। প্রতিটি জেলা-উপজেলা, গ্রাম-গঞ্জে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর টহলের ব্যবস্থা করেন।

স্বাস্থ্যবিধি না মানলে, মাস্ক ও গ্লাভস না পরলে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ৩ দিন জেল-হাজতের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। প্রশাসন, পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে তদারকি করার ব্যবস্থা করেন।

পাশাপাশি অনলাইনে বিভিন্ন অফিস, কাজকর্ম করার ব্যবস্থা করেন। হাসপাতাল, চিকিৎসক, নার্স বাড়ান। চিকিৎসা সুবিধা বাড়ান। মানুষের মধ্য সচেতনতা বাড়ান।

আমাদের মতো গরীব দেশে লকডাউন কখনও  সমাধান হতে পারে না। সমাধান হলো স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে হবে। পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ খাবার সহজলভ্য করতে হবে। ফল-মূল, পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ খাদ্য প্রয়োজনে বিদেশ থেকে আমদানি করতে হবে। সরকার ভর্তুকি দিয়ে খাবারের দাম কমাতে হবে।

মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে হবে। এ ছাড়া অন্য কোনো পথ কী আছে?

বাংলাদেশ শুধু নয়, গোটা পৃথিবীতেই কয়েক বছর করোনা থাকবে, সহজে যাবে না। করোনাকে সঙ্গে নিয়ে কীভাবে লড়াই করতে পারি, কীভাবে স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারি আমরা কেবল তার দিকেই জোর দিতে পারি। যতদিন পর্যন্ত শতভাগ কার্যকর টিকা কিংবা ওষুধ নিশ্চিত না হবে, ততদিন করোনা সঙ্গে নিয়েই আমাদের বাঁচার কৌশল গ্রহণ করতে হবে।

নওশাদ জামিল, লেখক ও সাংবাদিক

(মত ভিন্ন মত বিভাগের লেখার আইনগত ও অন্যান্য দায় লেখকের নিজস্ব। এই বিভাগের কোনো লেখা সম্পাদকীয় নীতির প্রতিফলন নয়। )

news24bd.tv তৌহিদ