নারায়ণগঞ্জে ছাত্রলীগ নেতাকে হত্যার পরিকল্পনা, হেফাজতের ৩ নেতা গ্রেফতার

নারায়ণগঞ্জে ছাত্রলীগ নেতাকে হত্যার পরিকল্পনা, হেফাজতের ৩ নেতা গ্রেফতার

অনলাইন ডেস্ক

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও এলাকার একটি রিসোর্টে হেফাজত ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকের নারীকাণ্ডের জেরে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সোহাগ রনিকে হত্যা চেষ্টার পরিকল্পনাকারী তিনজনকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মূল পরিকল্পনাকারী হেফাজত নেতা খালেদ সাইফুল্লাহ ওরফে সাইফ, হেফাজতকর্মী কাজি সমির এবং আব্দুল অহিদ।  

শুক্রবার (৯ এপ্রিল) নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশের একাধিক টিম। শুক্রবার রাতে এই তথ্য নিশ্চিত করেন জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোস্তাফিজুর রহমান।

গণমাধ্যমকে এক ক্ষুদে বার্তার মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।

এদিকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি আলমগীর হোসেন জানিয়েছেন, যে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে তারা সোনারগাঁয়ের সরকারদলীয় নেতা সোহাগ রনিকে হত্যার পরিকল্পনায় জড়িত ছিল। আমাদের হাতে একাধিক তথ্য প্রমাণ ও অডিও রেকর্ড এসেছে। তবে তদন্তের খাতিরে এখন কিছু বলা যাবে না।

এ ব্যাপারে জেলা পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম জানিয়েছেন, আমরা প্রতিটি ঘটনা অত্যন্ত সুচারুভাবে তদন্ত করছি। গোয়েন্দা তৎপরতা চালাচ্ছি। এসব ঘটনায় যারাই জড়িত তাদের আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করা হবে।

এর আগে বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) দুপুরে সোনারগাঁয়ে একটি মাদ্রাসায় গোপন বৈঠক থেকে রায়হান, হাসান মাহমুদ, ইউনুছ, শরীফ, আবু নাঈম, হাসান মাহমুদ ও রেদওয়ান নামে হেফাজতের সাত সক্রিয় কর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

বিষয়টি নিশ্চিত করে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, সহিংসতা ও নাশকতা সৃষ্টির ঘটনায় দায়ের করা মামলার বেশ কয়েকজন আসামি বৃহস্পতিবার দুপুরে সোনারগাঁয়ে একটি মাদ্রাসায় গোপন বৈঠক করছিল।   সেখান থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

নাশকতার ঘটনায় মঙ্গলবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে হেফাজতের ১২ কর্মীকে। গ্রেফতাররা সবাই সোনারগাঁয়ে সহিংসতা সৃষ্টির মামলার এজাহারভুক্ত আসামি ও হেফাজতের সক্রিয় কর্মী বলে এই অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানিয়েছেন।

গত ৩ এপ্রিল শনিবার মামুনুল হকের নারীকাণ্ডের পর  পুলিশ বাদী হয়ে দুইটি এবং এক সাংবাদিককে মারধরের ঘটনায় আরো একটিসহ মোট তিনটি মামলা দায়ের করা হয়। এই তিন মামলায় হেফাজতের যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হককে প্রধান আসামি করা হয়েছে। এছাড়া আরও ৮৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৫০০ থেকে ৬০০ ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।

news24bd.tv/আলী