বলাৎকারের পর ছাত্রকে কোরআন ছুঁয়ে শপথ করালেন মাদ্রাসাশিক্ষক

বলাৎকারের পর ছাত্রকে কোরআন ছুঁয়ে শপথ করালেন মাদ্রাসাশিক্ষক

নিজস্ব প্রতিবেদক

কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে ১১ বছর বয়সী এক মাদ্রাসাছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগ উঠেছে ইয়াকুব আলী নামের এক মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে।

সদরের বড়খারচর আদর্শ নূরানী হাফিজিয়া মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা হলেও পুলিশ এখনও তাকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।

জানা যায়, গত ১ এপ্রিল গভীর রাতে ওই শিক্ষার্থীকে ঘুম থেকে তুলে নিজ কক্ষে নিয়ে বলাৎকার করেন মোহতামিম ইয়াকুব আলী।

বলাৎকারের পর ছাত্রকে মেরে ফেলার ভয়ভীতি দেখিয়ে এ ঘটনা কাউকে না বলার জন্য কোরআন শরীফ ছুঁয়ে শপথ করান।  

এ ঘটনার পর অসুস্থ হয়ে গত দুইদিন আগে ওই শিক্ষার্থী বাড়িতে আসে। এরপর মাদ্রাসায় যেতে তাকে জোর করলে সে আর মাদ্রাসায় যাবে না বলে জানায়। তারপর পরিবারের পক্ষ থেকে মাদরাসায় যেতে বেশি চাপ দিলে সে মাকে নিয়ে থানায় চলে যায় বিচার চাইতে।

পরে মা বিষয়টি বুঝতে না পেরে সন্তানকে বাড়ি নিয়ে আসতে চাইলে সন্তান মাকে নিয়ে মাদ্রাসার পরিচালনা পর্ষদের সভাপতির কাছে গিয়ে ঘটনা খুলে বলে। এ ঘটনা জানাজানির পর ওই শিক্ষক মাদ্রাসা ছেড়ে পালিয়েছেন। এ ঘটনায় শিশুটির বাবা গত বুধবার রাতে বাদী হয়ে কুলিয়ারচর থানায় ইয়াকুব আলীর বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন।  

এলাকাবাসী জানায়, বিগত কয়েক বছর আগেও এ মাদরাসায় আবুল হাসিম নামের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ পাওয়া যায়। পরে ওই শিক্ষক রাতে পালিয়ে যায়।


জাহাজ আসতে দেখেই নৌকার ২০ যাত্রী নদীতে দিল ঝাঁপ

কেন তিমি মারা যাচ্ছে তার তদন্ত চান স্থানীয়রা

দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে সর্বোচ্চ মৃত্যু

মাওলানা মামুনুলের বিরুদ্ধে সোনারগাঁয়ে আরও এক মামলা


মাদরাসার পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি সাত্তার মিয়া জানান, ঘটনা শুনে ওই শিক্ষককে চাকরি থেকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

কিশোরগঞ্জ কুলিয়ারচর থানার ওসি এ কে এম সুলতান মাহমুদ বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলাটা তদন্তাধীন আছে। আসামিকে গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।

news24bd.tv নাজিম