কুরআন ও হাদিসের মানদন্ডে এরা কী মু’মিন?

কুরআন ও হাদিসের মানদন্ডে এরা কী মু’মিন?

Other

কুরআন ও হাদিসে মু’মিনদের কতিপয় ইতিবাচক ও নেতিবাচক মানদন্ডের উল্লেখ করা হয়েছে। ইতিবাচক বৈশিষ্ট্য হল যেমন, মুমিনরা বিনয়ের সাথে নামাজ আদায় করে, অনর্থক সময় ব্যয় করে না, যাকাত দেয়, ধৈর্যশীল ইত্যাদি। আর নেতিবাচক মানদন্ডের দু’য়েকটি উল্লেখ করছি- আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা.) বলেছেন, মুমিন কটুভাষী হতে পারে না, লা’নতকারী হতে পারে না এবং অশ্লীল ও অশালীন কথা বলতে পারে না। (আল আদাবুল মুফরাদ, ৩১২; জামে তিরমিযী, ১৯৭৭) অশ্লীল ও অশালীন কথা ঈমানের ও মু’মিনের বৈশিষ্টের পরিপন্থী।

 

মুমিনের কর্তব্য, এগুলো থেকে নিজেকে পবিত্র রাখা। (মা’আরিফুল হাদীস, খ. ১, হিস্যা. ১, পৃ. ১০২) হারেছা বিন ওহাব (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘অশ্লীলভাষী ও উগ্র মেজাজি লোক জান্নাতে যাবে না। ’ (আবু দাউদ, ৪১৬৮) তর্ক বা ঝগড়ায় অশ্লীল বাক্য উচ্চারণকে ইসলাম খাঁটি মুনাফিকের আলামত হিসেবে গণ্য করে। আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) থেকে বর্ণিত: রাসুল (সা.) বলেছেন, চারটি স্বভাব যার মধ্যে বিদ্যমান সে হচ্ছে খাঁটি মুনাফিক।

যার মধ্যে এর কোনো একটি স্বভাব থাকবে তা ত্যাগ না করা পর্যন্ত তার মধ্যে মুনাফিকের একটি স্বভাব থেকে যায়। এগুলো হচ্ছে- ১. আমানতের খেয়ানত করে ২. কথা বললে মিথ্যা বলে ৩. অঙ্গীকার করলে ভঙ্গ করে এবং ৪. বিবাদে লিপ্ত হলে অশ্লীলভাবে গালাগালি করেঅ’ (বুখারী-২২৫৯, মুসলিম ১/২৫) আল্লাহ বলেন, “নিশ্চয়ই মুনাফিকরা জাহান্নামের সর্বনিম্ন স্থানে অবস্থান করবে। ” (সুরা নিসা: ১৪৫) 

অবিশ্বাসীরা রাসুল (সাঃ)কে অপবাদ দিয়ে বলেছে তিনি ধর্মদ্রোহী, পাগল, জাদুকর, কবি, গণক, নিন্দিত ব্যক্তি। তারা তাঁকে নানাভাবে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করেছে, নামাজরত অবস্থায় তাঁর মাথায় উটের পচা-গলিত নাড়িভুঁড়ি ও আবর্জনা নিক্ষেপ করেছে, তাঁর চলার পথে কাঁটা বিছিয়ে রেখেছে, তাঁকে পাথর দিয়ে আঘাত করেছে। এর বিরুদ্ধে রাসুল (সাঃ) কি কোনো গালাগাল করেছেন? চাচা আবু তালিব ও স্ত্রী খাদিজার (রাঃ) মৃত্যুর পর কুরাইশরা রাসুলের ওপর অত্যাচার ও নির্যাতনের মাত্রা আরও বহুগুণে বাড়িয়ে দিয়েছিল। মক্কার মাটিতে তিনি আর টিকতেই পারছিলেন না। তাই তিনি মক্কার ৭০ মাইল দূরে তায়েফবাসীর কাছে ইসলামের দাওয়াত নিয়ে গিয়েছিলেন।  

দীর্ঘ ১০ দিন পর্যন্ত তিনি ঘুরে ঘুরে ইসলামের আহ্বান জানাতে থাকেন। কিন্তু তারা তাঁর কথায় কোনোই কর্ণপাত করল না; বরং তারা রাসুল (সাঃ)-এর সঙ্গে ঠাট্টা-বিদ্রূপ করছিল। অবশেষে তারা সন্ত্রাসী দুষ্ট যুবকদের লেলিয়ে দিল। যুবকরা রাসুল (সাঃ)কে পাথরের আঘাতে আঘাতে জর্জরিত করে তুলল। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁর জীবন-আশঙ্কা দেখা দিল। মহানুভব রাসুল (সাঃ) তায়েফবাসীদের এহেন আচরণ সত্ত্বেও তিনি আল্লাহর কাছে তাদের জন্য ক্ষমা ও করুণা প্রার্থনা করেন। অশ্লীল ভাষায় রাসুল (সাঃ)-কে যারা গালাগাল করত, বিষাক্ত বর্শা হাতে তাঁকে হত্যা করতে ওত পেতে থাকত, তাঁর দেহ মুবারক থেকে রক্ত ঝরাত, নামাজে নাড়িভুঁড়ি চাপা দিত, মাতৃভূমি ত্যাগ করতে যারা বাধ্য করেছিল, মুসলমানদের ঘরবাড়ি থেকে যারা বিতাড়ন করেছে, লুটপাট করেছে, মুসলমানদের সম্পত্তি দখল করে নিয়েছে, রাসুল (সাঃ)-এর চাচা হামজা (রাঃ)-এর কলিজা যে চিবিয়ে খেয়েছে, উহুদের যুদ্ধে শহিদ সাহাবাগণের মৃতদেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কেটে যারা খণ্ড-বিখণ্ড-বিকৃত করেছে, মক্কা বিজয়ের পর হাতের কাছে পেয়েও তিনি তাদের থেকে কোনো প্রতিশোধ গ্রহণ করেননি।

বরং সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করে সবাইকে উদারতা ও ক্ষমার চাদরে ঢেকে দিয়ে বলেছিলেন, আজ তোমাদের ওপর আমার কোনো অভিযোগ নেই, তোমরা মুক্ত। মহান আল্লাহ অত্যন্ত দয়ালু ও ক্ষমাশীল। তিনি ক্ষমা করতে ভালোবাসেন। যে অন্যকে ক্ষমা করে তাকেও ভালোবাসেন। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন, “যারা সুসময়ে ও দুঃসময়ে ব্যয় করে এবং ক্রোধ সংবরণ করে ও মানুষকে ক্ষমা করে। আর আল্লাহ সৎকর্মশীলদের ভালোবাসেন। ” (সুরা আল ইমরান: ১৩৪) 

ইসলামের এ ভালোবাসা, ক্ষমা, সম্প্রীতি, সহনশীলতার পরিবর্তে যারা ভার্চুয়াল মাধ্যমে  অশ্লীল গালাগাল করছে, উগ্র আচরণ করছে, অত্যন্ত মারমুখী ও আক্রমনাত্মক ভাষায় মন্তব্য লিখছে  তারা কী রাসুল (সা.) এর ইসলাম অনুসরণ করছেন? মহান আল্লাহ বলেন, “মুহাম্মদ (সা.) এর মাঝেই তোমাদের জন্যে রয়েছে সর্বোত্তম আদর্শ। ” (সুরা আহজাব: ২১) অন্য আয়াতে আল্লাহ বলেন, “আর রসূল তোমাদেরকে যা দেন তা তোমরা গ্রহণ কর এবং যা হতে তোমাদেরকে নিষেধ করেন তা হতে বিরত থাক। ” (সূরা হাশর: ৭) মহান রব আরও বলেছেন, “যে রাসুলের আনুগত্য করল, সে আসলে আল্লাহরই আনুগত্য করল। ” (সূরা নিসা: ৮০) আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ রাসুল (সা.)বলেন,‘………. সুতরাং আমি যখন তোমাদেরকে কোন জিনিস থেকে নিষেধ করব, তখন তোমরা তা হতে দূরে থাক। আর যখন আমি তোমাদেরকে কোন কাজের আদেশ দেব, তখন তোমরা তা সাধ্যমত পালন কর। ’ (বুখারী ৭২৮৮, মুসলিম ৩৩২১)

ফেসবুকসহ বিভিন্ন ভার্চুয়াল মাধ্যমে লক্ষ্য করবেন মুসলমানের লেবাস ও লিবাসধারী কিছু ব্যক্তি আপনার সাথে মতের অমিল হলেই তার যৌক্তিক ইসলামিক ব্যাখ্যা না দিয়ে ভয়ংকর রকম অশ্লীল গালাগাল ও উগ্রতার বহি:প্রকাশ ঘটাবে। আপনাকে ইয়াহুদীর দালাল, কাফির, নাস্তিক, সরকারের দালাল আখ্যা দিবে। এরা একবারেই অসহনশীল ও মারমুখী। কুরআন ও হাদিসের মানদন্ডে এরা কী মু’মিন? রাসূল (সা:) এ সম্পর্কে বিস্তারিত ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন। তিনি (সা.) বলেন, শেষ যামানায় এমন এক সম্প্রদায়ের আবির্ভাব ঘটবে যারা হবে অল্পবয়স্ক যুবক ও নির্বোধ। তারা সৃষ্টির শ্রেষ্ঠতম কথা থেকে আবৃত্তি করবে। অথচ তাদের ঈমান তাদের গলদেশ অতিক্রম করবে না...’। (বুখারী, ৬৯৩০; মিশকাত, ৩৫৩৫) 

মুসলিম উম্মাহকে সতর্ক করে রাসূল (সা.) আরো বলেন, ‘অদূর ভবিষ্যতে আমার উম্মতের মধ্যে মতানৈক্য ও ফিরক্বা সৃষ্টি হবে। এমতাবস্থায় এমন এক সম্প্রদায় বের হবে, যারা সুন্দর ও ভাল কথা বলবে আর কাজ করবে মন্দ। তারা কুরআন পাঠ করবে, কিন্তু তা তাদের কণ্ঠনালী অতিক্রম করবে না। তারা দ্বীন থেকে এমনভাবে বের হয়ে যাবে, যেমনভাবে তীর শিকার ভেদ করে বেরিয়ে যায়। …….( আবু দাউদ, ৪৭৬৫; মিশকাত, ৩৫৪৩) 
রাসূল (সা.)-এর ইন্তিকালের পর তাঁর সকল ভবিষ্যদ্বাণী সত্য প্রমাণিত হয় এবং শেষ পর্যন্ত এরা আত্মপ্রকাশ করে। হিজরী ৩৭ সালে একটি ঘটনার মাধ্যমে তাদের সম্পর্কে সকল ধারণা স্পষ্ট হয়ে যায়। আলী (রাঃ)-এর শাসনামলে খলীফা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মুসলমানরা দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে যায়। এক দল আলী (রাঃ)-এর এবং অন্য দল মু‘আবিয়া (রাঃ)-এর পক্ষাবলম্বন করে। ক্রমে অবস্থা রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের দিকে এগিয়ে যায়। অবশেষে ৬৫৭ সালের জুলাই মাসে ‘সিফ্ফীন’ নামক স্থানে আলী (রাঃ)-এর সাথে মু‘আবিয়া (রাঃ)-এর যুদ্ধ শুরু হয়।  

যুদ্ধকালে সমস্যার সমাধানের লক্ষে দু’জন বিচারক নির্ধারণ করা হয় এই মর্মে যে, তারা দু’জনে মুসলিম উম্মাহর কল্যাণের জন্য যে সিদ্ধান্ত দিবেন তা উভয় পক্ষ মেনে নিবে। আলী (রাঃ)-এর পক্ষ থেকে আবু মূসা আশ‘আরী (রাঃ) এবং মু‘আবিয়া (রাঃ)-এর পক্ষ থেকে আমর ইবনুল আছ (রাঃ)-কে নির্ধারণ করা হয়। ঘটনাটি ইসলামের ইতিহাসে ‘তাহকীম’ বা সালিস নির্ধারণ নামে পরিচিত। যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর শাম ও ইরাকের সকল সাহাবীর ঐক্যমতে বিচার ব্যবস্থা পৃথকীকরণ এবং আলী (রাঃ)-এর কুফায় ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এই সিদ্ধান্তকে অমান্য করে তখনই আলী (রাঃ)-এর দল থেকে কিছু লোক বের হয়ে যায় এবং ‘হারুরা’ নামক প্রান্তরে এসে অবস্থান করে। তাদের সংখ্যা মতান্তরে ৬, ৮, ১২ অথবা ১৬ হাযার হবে। বিচ্ছিন্নতার সংবাদ পেয়ে আলী (রাঃ) দূরদর্শী সাহাবী আব্দুল্লাহ ইবনু আববাস (রাঃ)-কে তাদের নিকট প্রেরণ করেন। তিনি তাদের সংশয়গুলিকে বিচক্ষণতার সাথে খন্ডন করায় বেরিয়ে যাওয়াদের মধ্য থেকে প্রায় ৪ অথবা ৬ হাযার লোক আলী (রাঃ)-এর আনুগত্যে ফিরে আসেন।  

অতঃপর আলী (রাঃ) কুফার মসজিদে দাঁড়িয়ে ভাষণ দিলে মসজিদের এক কোনায় ‘লা হুকমা ইল্লা লিল্লাহ’ ‘আল্লাহর হুকুম ছাড়া কারো হুকুম মানি না’ স্লোগানে তারা মসজিদ প্রকম্পিত করে তুলে। তারা আলী (রাঃ)-কে উদ্দেশ্য করে বলে যে, আপনি বিচার ব্যবস্থা মানুষের হাতে তুলে দিয়েছেন! অথচ বিচারের মালিক হচ্ছেন আল্লাহ। আপনি সূরা আন‘আমের ৫৭নং আয়াত ‘আল্লাহ ব্যতীত কারো ফায়সালা গ্রহণযোগ্য নয়’-এর হুকুম ভঙ্গ করেছেন। আল্লাহর বিধানের প্রতি অবজ্ঞা প্রদর্শনের দরুন আপনি মুশরিক হয়ে গেছেন ইত্যাদি। তাদের মতে আলী, মু‘আবিয়া, আমর ইবনুল আছ সহ তাহকীমকে সমর্থনকারী সকল সাহাবী কুফরী করেছেন এবং কাফের হয়ে গেছেন। ৪০ হিজরীর ১৭ই রামাযান জুম‘আর রাতে ফজরের সময় আলী (রাঃ)  বাড়ী থেকে বের হয়ে যখন ‘সালাত’ ‘সালাত’ বলে মানুষকে ডাকতে ডাকতে মসজিদের দিকে যাচ্ছিলেন, তখনই তারা আলী (রাঃ)-এর মাথায় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। এতে তাঁর দাড়ি রক্তে রঞ্জিত হয়ে যায়। তৎক্ষণাৎ তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তিনদিন পর ৪০ হিজরীর ২১শে রামাযান ৬৩ বা ৬৪ বছর বয়সে তিনি শাহাদত বরণ করেন।


বাংলাদেশের জিহাদি সমাজে 'তসলিমা নাসরিন' একটি গালির নাম

করোনা আক্রান্ত প্রতি তিনজনের একজন মস্তিষ্কের সমস্যায় ভুগছেন: গবেষণা

কুমারীত্ব পরীক্ষায় 'ফেল' করায় নববধূকে বিবাহবিচ্ছেদের নির্দেশ

বাদশাহ সালমানের নির্দেশে সৌদিতে কমছে তারাবির রাকাত সংখ্যা


 

 ঐ দিন একই সময় মু‘আবিয়া (রাঃ)-কে আঘাত করলে তিনি প্রাণে বেঁচে যান। আমর ইবনুল আছ (রাঃ) ভীষণ অসুস্থ থাকায় তিনি সেদিন মসজিদে আসতে পারেননি। ফলে তিনি বেঁচে যান। তবে তাঁর স্থলাভিষিক্ত ইমাম খারেজাহ ইবনু আবী হাবীবাকে ঐ ঘাতক হত্যা করে। এভাবেই এরা খুলাফায়ে রাশেদার মত জান্নাতী ও বিশিষ্ট সাহাবীগণের প্রাণনাশ ঘটিয়ে ইসলামের সোনালী ইতিহাসকে কলংকিত করে। এই হত্যারও আগে আব্দুল্লাহ বিন খাববাব (রাঃ) রাসূল (সা.)-এর ফিৎনা সংক্রান্ত হাদীস শুনালে তারা তাঁকে হত্যা করে। তাঁর গর্ভবতী স্ত্রীর পেট ফেড়ে বাচ্চা বের করে ফেলে দেয় এবং দু’টুকরো করে তাঁকে নির্মমভাবে হত্যা করে।  

এদের কিছু বৈশিষ্ট্য হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। উদাহরণস্বরুপ – ১. তারা হবে নবীন, তরুণ ও নির্বোধ, অথচ নিজেদেরকে অনেক জ্ঞানী ভাববে। ২. তারা সর্বোত্তম কথা বলবে, কিন্ত সবচেয়ে নিকৃষ্ট কাজ করবে। ৩. বাহ্যিকভাবে সুন্দর কথা বলবে। ৪. মুখে ঈমানের কথা বললেও তাদের অন্তরে ঈমানের লেশমাত্র থাকবে না। ৫. তাদের ঈমান ও সালাত তাদের গ্রীবাদেশ অতিক্রম করবে না। ৬. পথভ্রষ্ট হওয়ার পর এরা আর ঈমানের দিকে ফিরে আসবে না। যেমন তীর আর ধনুকের ছিলাতে ফিরে আসে না। ৭. তারা হবে ইবাদতে অন্যদের চেয়ে অগ্রগামী কিন্তু নিজেদের ইবাদতের জন্য হবে অহংকারী। লোকেরা তাদের ইবাদত দেখে অবাক হবে। ৮. তারা মানুষকে কিতাবুল্লাহর দিকে আহবান করবে। কিন্তু সে বিষয়ে তাদের কোন জ্ঞানই থাকবে না। অর্থাৎ কিতাবুল্লাহ দিয়ে দলীল গ্রহণ করবে। কিন্তু না বুঝার কারণে দলীল গ্রহণের ক্ষেত্রে ভুল করবে।  

৯. মতভেদ ও মতানৈক্যের সময় এদের আবির্ভাব হবে। ১০.তাদের আগমন ঘটবে শেষ যামানায়। ১১. তারাও কুরআন ও সুন্নাহ দিয়েই কথা বলবে কিন্তু অপব্যাখ্যা করবে। শান্তি, সম্প্রীতি, মৈত্রী, সাম্য ও ভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য ইসলাম। মানবতার ধর্ম ইসলাম। সত্য, সুন্দর, ন্যায় ও কল্যাণের জন্য ইসলাম। উগ্রতা, অশ্লীল গালমন্দ, বিদ্বেষ, প্রতিহিংসা, প্রতিশোধপরায়ণতা, সাম্প্রদায়িকতা ইসলাম নয়। ক্ষমা, সহনশীলতা ও ভালোবাসার নাম ইসলাম। রমজানের দ্বারপ্রান্তে দাাঁড়িয়ে সকলকে আহ্বান জানাই ভুল পথ পরিহার করে   সঠিক ইসলাম অনুশীলন করুন। নিজে জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচুন, অন্যকে বাাঁচতে উদ্বুদ্ধ  করুন।

(ফেসবুক থেকে নেয়া)

news24bd.tv/আলী