রাম রহিমের ডেরায় তালা

সংগৃহীত ছবি

রাম রহিমের ডেরায় তালা

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

ধর্ষণের দায়ে 'সাধুবাবা' গেছেন জেলে, তাই বন্ধ হয়ে গেছে ভণ্ড ধর্মগুরু রাম রহিমের ডেরা। প্রশাসন ডেরার বাসিন্দাদের বের করে দিচ্ছেন আশ্রম থেকে।   ফলে এতোদিন যে মানুষগুলো আশ্রমকে কেন্দ্র করে বেঁচে ছিল, আয়-রোজগার করছিল, তারা এখন বেকার। আর এ সংখ্যা নেহাত কম নয়।

প্রায় দুই হাজার। ডেরা সচ্চা সৌদার সিরসা ও হিসার-সহ বেশ কয়েকটি আশ্রম এখন বন্ধ। কাজ হারিয়ে বিহারের এই হাজার দুই মানুষ এখন যার যার নতুন গন্তব্যে রওয়ানা দিয়েছেন।

এর ফলে ভারতের ভাগলপুরের নাথনগর থানা এলাকার গোঁসাইদাসপুর ও সংলগ্ন গ্রামগুলির বাসিন্দা, ওই সব কর্মীরা এখন ঘরে ফিরে আসছেন।

বাড়ির পথে কেউ রয়েছেন ট্রেনে, কেউ দিল্লি স্টেশনে, কেউ বা এখনও আশায় আশায় রয়ে গিয়েছেন সিরসাতেই। সকলের পরিবারই চিন্তিত। তাঁরা নিয়মিত ফোনে যোগাযোগ করছেন কর্মহারা স্বজনদের সঙ্গে।

ভারতের গোঁসাইদাসপুরের বাসিন্দা মলয় পাশোয়ান কাজের খোঁজে প্রায় ১৮ বছর আগে দিল্লি যান। সেখানে তেমন কোন কাজ না পেয়ে এক সঙ্গীর সঙ্গে হরিয়ানার সিরসায় পৌঁছন। সেখানে দিনমজুর হিসেবে কাজ করতে করতেই ডেরার সদস্যদের সংস্পর্শে আসেন। কাজ জুটিয়ে নেন সিরসার আশ্রমে। থাকা ও খাওয়ার পাশপাশি মাসিক ৮ হাজার টাকা বেতন। ছ’মাসে এক বার গ্রামেও আসতেন মলয়। এর পরে কার্যত মলয়ের হাত ধরেই হরিয়ানার সিরসা এবং হিসারের আশ্রমে গোঁসাইদাসপুরের লোকেরা পৌঁছতে শুরু করেন কাজের খোঁজে। বিশাল আশ্রমে কাজও জুটে যায়। চাষ-আবাদ, গো-পালন ইত্যাদি নানা কাজের দায়িত্বে গত বেশ কয়েক বছর ধরে বহাল তাঁরা। প্রায় দশ হাজার জনবসতির গোঁসাইদাসপুর ও আশপাশের হাজার দু’য়েক লোক কাজ করেন ডেরার বিভিন্ন আশ্রমে। সূত্র: আনন্দবাজার।

এই রকম আরও টপিক

সম্পর্কিত খবর