গণপরিবহণ বন্ধ, অটোরিকশা এখন রংপুর অঞ্চলের ‘দূরপাল্লার যান’

গণপরিবহণ বন্ধ, অটোরিকশা এখন রংপুর অঞ্চলের ‘দূরপাল্লার যান’

অনলাইন ডেস্ক

এক জেলা থেকে অন্য জেলায় যেতে ভেঙে ভেঙে অটোরিকশা পরিবর্তন করে চলাচল করছেন রংপুর অঞ্চলের লোকজন।

করোনা ভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে গণপরিবহণ বন্ধ হলেও আজ সোমবার রংপুর শহরের মডার্ন মোড় এলাকায় দেখা যায়, লোকজন অটোরিকশায় করেই ছুটছে। কেউ বগুড়া, কেউবা গাইবান্ধা, আবার কেউ নাটোর, নওগাঁয়। অর্থাৎ বাসের কাজ তারা সেরে ফেলছেন অটো দিয়ে।


‘খেলাফত প্রতিষ্ঠা হলে ধরব আর জবাই করব’ বক্তব্য দেওয়া হেফাজত নেতা রিমান্ডে

ফরিদা পারভীনের ফুসফুসের ৫০ শতাংশ আক্রান্ত

সাপ্তাহিক বন্ধের দিনও খোলা বসুন্ধরা সিটি শপিংমল

এদেশে জন্ম নেওয়া কি পাপ, প্রশ্ন নুরুর

এ ব্যপারে কথা হয় যাত্রী ও অটোরিকশার চালকদের সঙ্গে। তারা জানান, রংপুর থেকে গাইবান্ধা যেতে তিন থেকে চারবার অটোরিকশা পরিবর্তন করতে হচ্ছে। প্রথমে রংপুর থেকে শঠিবাড়ি কিংবা বড়দরগা পর্যন্ত, ভাড়া পড়ছে ১৫০ টাকা। এরপর বড়দরগা থেকে পলাশবাড়ি পর্যন্ত ১০০ টাকা এবং পলাশবাড়ি থেকে গাইবান্ধা পর্যন্ত ১০০ টাকা।

অর্থাৎ রংপুর থেকে গাইবান্ধায় যেতে অটোভাড়া পড়ছে ৩৫০ টাকা। কিন্তু বাসের ভাড়া ছিল ১০০ টাকা।

নূরুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তির নিকটাত্মীয় খুব অসুস্থ। তাকে যে করেই হোক গাইবান্ধা যেতেই হবে। তিনি জানাচ্ছেন, ভেঙে ভেঙে কষ্ট করে যেতেই হবে। তা ছাড়া বিকল্প পথ নাই। ’

রংপুর থেকে শঠিবাড়ি যাচ্ছিলেন ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চালক আনোয়ার মিয়া।

তিনি জানান, ‘আমরা অটো নিয়ে রংপুরের বড়জোর শঠিবাড়ি কিংবা বড়দরগা পর্যন্ত চলাচল করছি। দিনে একবার যাওয়া-আসা করতে পারি। তাতে অটোর জমা ৪০০ টাকাসহ বাড়ির খরচের টাকা উঠে যায়। ’

এভাবে রংপুর থেকে সাতবার অটো পরিবর্তন করে বগুড়া যেতে হচ্ছে অনেককে। এতে ভাড়া পড়ছে প্রায় ৪০০ টাকা। যেখানে বাসের ভাড়া ছিল ১৫০ টাকা।

এদিকে দুপুর ১২টার দিকে রংপুর শহরের মেডিকেল মোড়ে গিয়ে দেখা যায়, সৈয়দপুর, দিনাজপুর, নীলফামারী যেতে একইভাবে অটোরিকশার ওপর নির্ভরশীল মানুষ।

চালকেরা জানান, সৈয়দপুর থেকে দুই ধাপে অটোরিকশা পরিবর্তন করতে হচ্ছে। আর নীলফামারী যেতে রংপুর থেকে তিনবার এবং দিনাজপুর যেতে চার থেকে পাঁচবার অটোরিকশা পরিবর্তন করে লোকজন চলাচল করছেন।

news24bd.tv তৌহিদ

সম্পর্কিত খবর