এলাকা না ছাড়তে ব্যাংক কর্মচারীদের কড়া নির্দেশ

এলাকা না ছাড়তে ব্যাংক কর্মচারীদের কড়া নির্দেশ

অনলাইন ডেস্ক

আগামীকাল বুধবার থেকে শুরু হচ্ছে সরকার ঘোষিত ৭ দিনের কঠোর লকডাউন। এসময় সরকারি নির্দেশনায় জরুরী সেবা ছাড়া সকল কিছুই বন্ধ থকাবে। কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে তাই সব কিছুর মতো বন্ধ থাকছে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানও।

লকডাউনের ঘোষণা আসতেই শহর ছেড়ে গ্রামে ছুটতে শুরু করেছে মানুষ।

যাতে করে সংক্রমণ আরও বাড়তে পারে। সব কিছু বিবেচনা করে লকডাউনের এই সময়টাতে ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিজ নিজ কর্ম এলাকায় থাকার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

গতকাল সোমবার বিধিনিষেধ সম্বলিত বাংলাদেশ ব্যাংকের অফ-সাইট সুপারভিশন বিভাগের মহাব্যবস্থাপক মো. আনোয়ারুল ইসলাম স্বাক্ষরিত একটি বিজ্ঞপ্তি দেশের সকল তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে।

ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধ চলাকালীন সময়ে সাধারণভাবে সকল তফসিলি ব্যাংক বন্ধ থাকবে।

এসময় ব্যাংকের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীকে নিজ নিজ কর্মস্থলে অবস্থান করতে হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সমুদ্রবন্দর, স্থলবন্দর, বিমানবন্দর এলাকায় (পোর্ট ও কাস্টমস এলাকা) অবস্থিত ব্যাংকের শাখা উপশাখা বুথসমূহ খোলা রাখার বিষয়ে বন্দর/কাস্টমস কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। উক্ত ব্যাংকিং সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে স্ব স্ব ব্যাংক প্রয়োজনীয়তার নিরিখে সংশ্লিষ্ট অনুমোদিত ডিলার (এডি) শাখা এবং প্রধান কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগ সীমিত সংখ্যক জনবল দ্বারা খোলা রাখতে হবে।

আরও পড়ুন


ব্যাংকে লেনদেন ৩টা পর্যন্ত, কাল থেকে সব বন্ধ

জাতির উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ সন্ধ্যায়

শহর থেকে দলে দলে গ্রামে ছুটলে লকডাউনের মানে হয় না

‘দ্রুত মার্কিন সেনা বহিষ্কার ইরাকে স্থিতিশীলতা ফিরবে’


এছাড়ও, এটিএম ও কার্ডের মাধ্যমে লেনদের চালু রাখার সুবিধার্থে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সহায়তায় এটিএম বুথগুলোতে পর্যাপ্ত নোট সরবরাহসহ প্রয়োজ্য ক্ষেত্রে ইন্টারনেট ব্যাংকিং সুবিধা সার্বক্ষণিক চালু রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।

উল্লেখ্য, জরুরিসেবা দেওয়া প্রতিষ্ঠান ছাড়া সরকারি-বেসরকারি সব অফিস এবং গণপরিবহন ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।

news24bd.tv আহমেদ

সম্পর্কিত খবর