বাংলাদেশের গরিবরা খেতে পায় না, তাই ভারতে আসে: আনন্দবাজারকে অমিত শাহ

বাংলাদেশের গরিবরা খেতে পায় না, তাই ভারতে আসে: আনন্দবাজারকে অমিত শাহ

অনলাইন ডেস্ক

‘বাংলাদেশের গরীব মানুষ এখনও খেতে পাচ্ছে না’ বলে মন্তব্য করেছেন বিজেপির সাবেক সভাপতি ও ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) অমিত শাহের একটি সাক্ষাৎকার প্রকাশ করেছে আনন্দবাজার পত্রিকা।

সাক্ষাৎকারে অমিত শাহ এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, পশ্চিমবঙ্গের সবচেয়ে বড় সমস্যা অনুপ্রবেশ। এটি ভারতের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সীমান্তবর্তী একটি রাজ্য।

পশ্চিমবঙ্গে যেভাবে রাজনৈতিক কায়েমি স্বার্থের কারণে প্রথমে কমিউনিস্ট এবং পরে তৃণমূল অনুপ্রবেশকে মদত দিয়েছে, তাকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রতিরোধ করতে হবে। পশ্চিমবঙ্গের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা শুধু রাজ্যের নয়, গোটা দেশের জন্য চিন্তার। আগামী ১০ বছর পর কলকাতার নাগরিকও অনুপ্রবেশ থেকে বাঁচতে পারবে না।


করোনা নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ সরকার লকডাউনের নামে চালাচ্ছে শাটডাউন: ফখরুল

আব্দুল মতিন খসরু লাইফ সাপোর্টে

ওবায়দুল কাদের কিংবা জাহিদ মালেক যদি এই ডিগ্রিটা পেতেন, তখন কী করতাম: সুমন্ত আসলাম

শ্রীপুরে মসজিদে অচেতন থাকা ব্যক্তিকে উদ্ধা


তিনি বলেন, এখানে অনেক মানুষ শরণার্থী হয়ে এসে বেআইনিভাবে বসবাস করছে।

আমরা এখানে ক্ষমতায় এসে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের মাধ্যমে তাদের সম্মানজনকভাবে বাঁচার অধিকার দেব। এর ফলে পশ্চিমবঙ্গের জীবনযাত্রারও অনেক পরিবর্তন হবে।

এরপর ভারতীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে প্রশ্ন রাখা হয়, গত ১০-১৫ বছরে বাংলাদেশে ব্যাপক আর্থিক উন্নয়ন হয়েছে। তারপরও কেন লোকে পশ্চিমবঙ্গে অনুপ্রবেশ করছে?

জবাবে অমিত শাহ বলেন, এর দুটি কারণ। এক, বাংলাদেশের উন্নয়ন সীমান্ত এলাকায় নিচুতলায় পৌঁছায়নি। যেকোনও পিছিয়ে-পড়া দেশে উন্নয়ন হতে শুরু করলে সেটি প্রথমে কেন্দ্রে হয়। আর তার সুফল প্রথমে বড়লোকদের কাছে পৌঁছায়, গরিবদের কাছে নয়। বাংলাদেশে এখন সেই প্রক্রিয়া চলছে। ফলে গরিব মানুষ এখনও খেতে পাচ্ছে না। সেই কারণেই অনুপ্রবেশ চলছে। আর যারা অনুপ্রবেশকারী, তারা শুধু পশ্চিমবঙ্গেই থাকছে, তা নয়। তারা ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে ছড়িয়ে পড়ছে, জম্মু-কাশ্মীর পর্যন্ত পৌঁছে যাচ্ছে।

‘দ্বিতীয়, আমি মনে করি, এটি প্রশাসনিক সমস্যা। প্রশাসনিকভাবেই এর মোকাবিলা করতে হবে। সেটি পশ্চিমবঙ্গের সরকার করেনি। ’

news24bd.tv তৌহিদ