হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের রিসোর্ট কাণ্ডের পর থেকেই গ্রেফতার হচ্ছেন শীর্ষ স্থানীয় নেতারা। নতুন নতুন মামলায় গ্রেফতার হচ্ছেন সংগঠনটির সকল স্তরের নেতাকর্মী। গ্রেফতার আতঙ্কে ভুগছেন অনেকেই। এমতাবস্থায় সাংগঠনিক স্থবিরতা কাটাতে উদ্যোগী হয়েছে হেফাজত।
রবিবার হাটহাজারী মাদ্রাসায় হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় কমিটির রুদ্ধদ্বার বৈঠক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
হেফাজতের সহকারী মহাসচিব মুফতী শাখাওয়াত হোসাইন রাজী জানান, সরকার চাইলে তো গ্রেফতার এড়ানো যাবে না। তবে সবকিছু আইনীভাবে মোকাবিলার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় দুই থেকে তিন সদস্যের আইনি সহায়তা সেল গঠন করা হবে আইনজীবীদের নিয়ে। হেফাজতের কার্যক্রম, মামলা ও গ্রেফতারের বিষয়ে তারা কাজ করবেন।
ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলা ও মহানগরে হেফাজতের কমিটি রয়েছে। এর বাইরে সারাদেশে ওয়ার্ড পর্যায়ে কমিটি গঠন করাসহ সংগঠনকে এগিয়ে নিতে ‘সাংগঠনিক সেল’ গঠিত হয়। এই সেলের দায়িত্ব দেওয়া হয় যুগ্ম-মহাসচিব জুনায়েদ আল হাবিব, সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক ইসলামাবাদী ও সহকারী মহাসচিব মুফতি শাখাওয়াত হোসেনকে। তাদের মধ্যে ইসলামাবাদী বৈঠক শেষে বাড়ি ফেরার পর গ্রেফতার হন।
জুনায়েদ আল হাবিব বৈঠকের বিষয়ে গণমাধ্যমকে বলেন, সাংগঠনিক সেলের মাধ্যমে এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে সারা দেশের কমিটিগুলোর কার্যক্রমকে আরও শক্তিশালী করা হবে। এ জন্য রোববারের সভায় তিনজনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
news24bd.tv/আলী