তারা ফেসবুকে তীক্ষ দৃষ্টি রেখে কারা খাবারের ছবি দিল সেটা পাহারা দিচ্ছে!

তারা ফেসবুকে তীক্ষ দৃষ্টি রেখে কারা খাবারের ছবি দিল সেটা পাহারা দিচ্ছে!

Other

ইফতারের টেবিলে এসে আমার ছোট মেয়ে যখন বসল, তখন তাঁর একটা ছবি তুলতে ইচ্ছে হলো। আমি নিজের চেয়ারে বসেই সেই ছবি তুলে ফেসবুকে আপলোড করলাম।

ওরে খোদা, সেই ছবিতে এখন ২৮৯টা কমেন্ট, কেন আমি খাবারের ছবি আপলোড করলাম সেটা নিয়ে চিন্তায় কত্তো লোক যে জেরবার!

আমি এখন মনোযোগ দিয়ে ছবিটা আবার দেখলাম। ছবিতে মেয়ের ছবির পাশপাশি ইফতার টেবিলের একটা সাইডভিউ এসেছে।

সেখানে খাবার বলতে শরবত, খেজুর, পিয়াজু, জিলাপি আর হালিম দেখা যাচ্ছে- এমন কোনো আহামরি খাবার নয়।  

কিন্তু লোকজনের কমেন্ট দেখে বুঝলাম যে এদের অধিকাংশই এই পরিমান খাবারও জোগাড় করতে পারছে না, তারা ফেসবুকে তীক্ষ দৃষ্টি রেখে কারা এই সামান্য খাবারের ছবি দিল সেটা পাহারা দিচ্ছে! তাদের হা হুতাশ দেখে লজ্জাই লাগছে।

ফেসবুক এখন কী পরিমান তৃণমূলে পৌঁছেছে, কী পরিমান হতদরিদ্র লোকজন এটি ব্যবহার করছে, সেটা দেখে এমিউজড হলাম। মার্কেটাররা এই সেগমেন্টটাকে এখনও যথেষ্ট পরিমান গুরুত্ব দিচ্ছেন না, দেয়া উচিত।

news24bd.tv/আলী