করোনায় কেন ঘরে থাকতে হবে- কেন বাইরে যাওয়া যাবে না, কেন সরকারকে লকডাউন দিতে হয়- এই সব প্রশ্নের উত্তর নিজের মনের মধ্যে প্রোথিত করা না গেলে- সরকার শত চেষ্টা করেও মানুষকে আটকে রাখতে পারবে না। গত এক বছরে কোভিডের এই জরুরী বার্তাটা যে সব দেশ মানুষের মনের ভেতর ঢুকিয়ে দিতে পেরেছে,তারা যথেষ্ট পরিমানে সাফল্যও পেয়েছে। বাংলাদেশে এই ব্যাপারে উদ্যোগ এবং সাফল্য- দুটো নিয়েই প্রশ্ন করার সুযোগ আছে।
মানুষকে, নাগরিকদের সচেতন করবে কে? সরকারের দায়িত্ব অবশ্যই আছে।
কিন্তু সরকারের বাইরে যদি সত্যিকার অর্থে সচেতন কোনো জনগোষ্ঠী থাকে- তাদের ভূমিকাও এখানে জরুরী। বিভিন্ন দেশে তাই হয়েছে। মিডিয়া, সমাজের সচেতন অগ্রসর শিক্ষিত মানুষেরা, সেলেব্রেটিরা, সামাজিক, ধর্মীয় নেতারা নিজ উদ্যোগে মানুষকে সচেতন করার, মানুষের মনের ভেতর বার্তা পৌঁছে দেয়ার দায়িত্ব তুলে নিয়েছে।ঢাকায় ‘মুভমেন্ট পাসে’র আইডিয়াটা কার মাথা থেকে এসেছে জানি না।
লকডাউনে জরুরী প্রয়োজনে মানুষ বাইরে যাবে না- তা নয়। কিন্তু সেই ’জরুরী’টা যেনো সত্যিকারের জরুরী হয়- সেই প্রচারনাটাও দরকার। রাষ্ট্র নির্দেশনা দেবে আর সমাজের নানা শক্তি সেই নির্দেশনা প্রচারে আত্মনিয়োগ করবে- মহামারীকালের এটাই তো স্বাভাবিক চিত্র।
আরও পড়ুনঃ
যেভাবে পাওয়া যাবে ‘লকডাউন মুভমেন্ট পাস’
চীনে সন্তান নেয়ার প্রবণতা কমছে, কমছে জন্মহার
কুমারীত্ব পরীক্ষায় 'ফেল' করায় নববধূকে বিবাহবিচ্ছেদের নির্দেশ
বাদশাহ সালমানের নির্দেশে সৌদিতে কমছে তারাবির রাকাত সংখ্যা
পত্রিকার খবরে পড়লাম, দ্বিতীয় দিনে পুলিশ একটু ঢিলে দিয়েছে। প্রথম দিনের তুমুল সমালোচনার মুখোমুখি হওয়ার কারনে তারা আর কড়াকড়ি আরোপে উৎসাহ পাচ্ছেন না- ব্যাপারটা এমন কিনা তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। কাল পরশু হয়তো লকডাউনটা আরো ‘ডাউন’ হয়ে যাবে। তখন আমরা আবার সমালোচনা শুরু করবো। কিন্তু লকডাউনটা কেন দরকার, মানুষ যেনো ঘরে থাকে, নিয়ম মানে- সে ব্যাপারে সোচ্চার হবো না।
নাগরিকরা সরকারের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে, ব্যর্থতা নিয়ে অবশ্যই কথা বলবেন, সমালোচনা করবেন। কিন্তু কোভিড মহামারীকালে স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য নাগরিকদের উৎসাহিত করা, সচেতন করাটা অধিক গুরুত্বপূর্ণ।
news24bd.tv / নকিব