মুভমেন্ট পাসের আবেদন করিনাই আমি। জটিল কিছু না, কিন্তু ‘মুভ’ করার নিয়্যত ছিলোনা বলেই করিনাই। অথচ আমাকে ‘মুভ’ করতে হইসে গত দুইদিনই। আম্মা অসুস্থ।
যাওয়ার সময় পথে কোনও চেকপোস্টে আটকায়নায় গতকালও, আজকেও। ফেরার সময় জিজ্ঞেস করসে। আমি কারণ বলসি, তারা সুন্দর করে গাড়ি ছেড়ে দিসেন।
কোথাও দেখিনাই একটা পথচারি বা রিকশার সাথে বা গাড়ির সাথে দুর্ব্যবহার করছেন কোন দায়িত্বরত পুলিশ।
তার উপর সেইটারে সদর রাস্তায় চলতে হবে ক্যান সেইটাই তো বুঝলামনা। এমনকি গুলশান, বনানী, মানিকমিয়া এভিনিউ, ধানমন্ডি প্রায় সবখানেই দেদারসে উল্টা সাইডে রিকশা চলতেসে।
১৭ কোটি মানুষের দেশে ১৬ কোটি মুভমেন্ট পাসের আবেদন নাকি জমা পড়সে। এয়ারপোর্ট রোড আজকে রীতিমত ট্রাফিক ওভারলোডেড।
অথচ কাল থেকেই ফেইসবুক ভাইসা যাইতেসে কারে কারে নাকি কী কী সব হয়রানি করতেসে পুলিশ।
অবস্থা দেখে আমার মনে হইতেসে এখন পুলিশের উচিত যারা যারা “অতি জরূরী” প্রয়োজনে বের হইতেসেন তাদের সকলকেই হাতে পায়ে ধরে বলা, “হে মহামান্য নাগরিক আপনি বের হয়ে আমাদের ধন্য করসেন, আপনার সেবা করতে পেরে আমি গর্বিত”!!
অথবা মুভমেন্ট পাস নিয়ে “ঘুড়ি কিনতে যাওয়া” নাগরিকদের জন্য কিছু নগদ প্রনোদনা দিয়ে গতদিনের পাপের ক্ষমা চাওয়া।
একটা আজব জাত এইটা। লকডাউন না দিলে কয় দেয়না ক্যান, দিলে কয় ‘মুভমেন্ট’ করতে দেয়না ক্যান!! ভাইরে ভাই!!!!
news24bd.tv/আলী