খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ারে নেয়া হচ্ছে

খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ারে নেয়া হচ্ছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

করোনায় আক্রান্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সিটিস্ক্যান করানোর জন্য রাজধানীর এভারকেয়ারে হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে। তবে, এ বিষয়ে খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় নিয়োজিত চিকিৎসকদের কাছ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। চেয়ারপারসনের প্রেস উইং সদস্য শায়রুল খান এ বিষয়ে জানেন না বলে জানান।

বিএনপির একটি সূত্র জানায়, লকডাউনেে মধ্যে সরকারি বিধিনিষেধের মধ্যে খালেদা জিয়াকে কেন্দ্র করে হাসপাতালে প্রাঙ্গণে কোনো ভিড় হোক সেটা চায় না দল ও পরিবার।

এই কারণে গোপনীয়তা বজায় রেখে তার সিটি স্ক্যান করানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। আর এই কাজের তত্ত্বাবধানে আছেন খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও দলের ভাইস চেয়ারম্যান ডা. জাহিদ হোসেন।

সিটিস্ক্যানের ফলাফলের ওপর দলের চেয়ারপারসনকে হাসপাতালে ভর্তির বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে বলেও জানান তিনি।

বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের বাসভবন ফিরোজায় খালেদা জিয়ার সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা জানান তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক দলের প্রধান মেডিসিন ও বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক এফএম সিদ্দিকী।

তিনি জানান,খুব দ্রুত খালেদা জিয়ার সিটিস্ক্যান করানো হবে।

এফ এম সিদ্দিকী বলেন, সকালে বেগম খালেদা জিয়ার জ্বর আসলেও এখন তার শারীরিক অবস্থা স্বাভাবিক রয়েছে। তার ব্লাড রিপোর্ট ভালো। আমরা তার সিটিস্ক্যান করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যে কোনো সময় এ সিটিস্ক্যান করানো হবে। ইতোমধ্যেই আমরা সব প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি।

গত শনিবার খালেদা জিয়ার নমুনা পরীক্ষা শেষে রোববার তার করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়। চিকিৎসক এফএম সিদ্দিকীর নেতৃত্বে তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক টিম বিএনপি চেয়ারপারসনের চিকিৎসা শুরু করে।   লন্ডন থেকে চিকিৎসক পূত্রবধূ জোবাইদা রহমানও চিকিৎসার বিষয়ে পরামর্শ দিচ্ছেন।

লন্ডনে থেকেই পুত্রবধূ ডা. জোবায়দা রহমান দেশে-বিদেশে বিভিন্ন চিকিৎসকদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে বেগম জিয়ার সুচিকিৎসার তদারকি করছেন। এছাড়া তার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সমন্বয়ও করছেন ডা. জোবায়দা রহমান।


ইবাদতে দিন কাটাচ্ছেন করোনা আক্রান্ত খালেদা জিয়া

খালেদা জিয়াকে জাপানের রাষ্ট্রদূত ও পাকিস্তান হাইকমিশনারের চিঠি


 

৭৫ বছল বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দুর্নীতির দুই মামলায় দণ্ডিত। দণ্ড নিয়ে তিন বছর আগে তাকে কারাগারে যেতে হয়।  

দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরুর পর পরিবারের আবেদনে সরকার গত বছরের ২৫ মার্চ ‘মানবিক বিবেচনায়; শর্তসাপেক্ষে তাকে সাময়িক মুক্তি দেয়। তখন থেকে তিনি গুলশানে নিজের ভাড়া বাসা ফিরোজায় থেকে ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধায়নে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তার সঙ্গে বাইরের কারও যোগাযোগ সীমিত।

news24bd.tv/আলী