যেখানে অপরাধ সেখানেই শারুন। বিষয়টি এমন যে, চট্টগ্রামে কোন অঘটন মানেই তার সামনে কিংবা পেছনে আছে, হুইপপুত্র নাজমুল করিম চৌধুরী শারুন। এবার, ব্যাংক কর্তকর্তার আত্মহত্যা প্রচোরণাকারী হিসেবে, শারুনসহ বেশ কয়েকজনকে অভিযুক্ত করছেন, ভুক্তভোগী পরিবার।
এর আগে, আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা, মুক্তিযোদ্ধা দিদারুল আলম চৌধুরীকে টেলিফোনে অশ্লীল বাক্যবানের অভিযোগ ওঠে।
তারপরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়, একে-47 দিয়ে শারুনের মুহুরমুহ গুলির ভিডিও। আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মীরাই বলছেন, অদৃশ্য শক্তিতে বার বারই ধরা ছোয়ার বাইরে থেকে যায়, শারুন।তামিল সিনেমার দৃশ্য ভেবে ভুল করবেন না। এটা বাংলাদেশ।
এই ঘটনার এক দিন আগে, ২৬ সেপ্টম্বর, ২০১৯ আরেক বিতর্কের জন্ম দেন, হুইপপুত্র শারুন। প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা ও চট্টগ্রাম আবাহনীর প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক, মুক্তিযোদ্ধা দিদারুল আলম চৌধুরীকে টেলিফোনে অশ্লীল ভাষায় গালমন্দ করেন শারুন।
পরে সেই কথপোকথন কে সুপার এডিট বলে দাবি করেন, নাজমুল করিম চৌধুরী শারুন। তবে, তার এই অভিযোগকে চ্যালেঞ্জ করেন, দিদারুল আলম চৌধুরী।
শুধু এই দুটি ঘটনা নয়, দেশের মুল ধারার গণমাধ্যমে বিভিন্ন সময় সংবাদের শিরোনামে হয়েছেন, পিতা-পুত্র। এলাকায় তাদের বিরুদ্ধে মুখ খুললেই জেল-জমিরানার শিকার হতে হয়।
সবশেষ, রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক চাপের পর, চট্টগ্রামে এক ব্যাংক কর্মকর্তার আত্মহত্যায় তার যোগসাজসের অভিযোগ করছে ভুক্তভোগী পরিবার। মৃত আব্দুল মোর্শেদ চৌধুরীর স্ত্রীর দাবি, নম্বর প্লেটবিহিন এই গাড়িতে বসে ছিলেন, শারুন। আর ৮-১০ জন যুবক ভবনে প্রবেশ করে তান্ডব চালায়।
৮ এপ্রিল মোরশেদ চৌধুরীর আত্মহত্যার ঘটনায় ৪ জনকে আসামি করে, মামলা দায়ের করে পরিবার। কিন্তু এখনো জাবেদ ইকবাল, পারভেজ ইকবালসহ ৪ আসামীই অধরা। আর হুমকিতে পরিবার।
তবে, পুলিশ বলছে, দ্রত আসামীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
গত ৭ এপ্রিল, তিনি নিজ বাসায় আত্মহত্যা করেন, বেসরকারি ব্যাংকের ব্রাঞ্চ ম্যানেজার আব্দুল মোর্শেদ চৌধুরী। যেখানে সুইসাইড নোটে নিজের মৃত্যুর কারণ লিখে যান, তিনি।
আর পারছি না। সত্যি আর নিতে পারছি না। প্রতিদিন একবার করে মরছি। কিছু লোকের অমানসিক প্রেসার আমি আর নিতে পারছি না। প্লিজ, সবাই আমাকে ক্ষমা করে দিও। আমার জুমকে (মেয়ে) সবাই দেখে রেখো। আল্লাহ হাফেজ।
news24bd.tv/আলী