কাজের সন্ধানে আসা স্বামী পরিত্যক্তা এক তরুণীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে তিন ব্যক্তির বিরুদ্ধে। বগুড়ার শেরপুরে ওই তরুণীকে কাজের কথা বলে বাড়িতে না নিয়ে তাকে একটি পুকুরপাড়ে নিয়ে যায় তারা। সেখানে তাকে প্রাণনাশের ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক ওই নারীকে ধর্ষণ করতে থাকে। এসময় তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে তাদের হাতেনাতে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
এ ঘটনায় শুক্রবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে শেরপুর থানায় ভুক্তভোগী ওই নারী বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- উপজেলার কুসুম্বী ইউনিয়নের বাগড়া হঠাৎপাড়া গ্রামের আব্দুস সামাদের ছেলে মামুন প্রামাণিক (৩৫), একই গ্রামের আবুল সেখের ছেলে আব্দুল খালেক (২৮) ও পৌরশহরের উত্তরসাহাপাড়া এলাকার সাইফুল সরকারের ছেলে সোহাগ সরকার (২২)।
মামলা সূত্রে জানা যায়, জেলার ধুনট উপজেলার গোসাইবাড়ী ইউনিয়নের গোসাইবাড়ী চিতুলিয়া গ্রামের আবিন সরকারের স্বামী পরিত্যক্তা ওই নারী বাসা-বাড়িতে কাজের খোঁজে বৃহস্পতিবার বিকেলে শেরপুর শহরে আসেন। এরপর শহরের একাধিক বাড়িতে কাজের খোঁজ করেন।
তখন রাত আটটা বাজে। এসময় আটক ব্যক্তিরা বাগড়া হঠাৎপাড়া গ্রামের একটি বাড়িতে কাজের সন্ধান দেন। সেইসঙ্গে ব্যাটারি চালিত একটি অটোরিকশায় সেখানে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানে পৌঁছার পর ওই বাড়িতে তাকে না নিয়ে একটি পুকুরপাড়ে নিয়ে যায় তারা। এমনকি প্রাণনাশের ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক ওই নারীকে ধর্ষণ করতে থাকে। এসময় তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে তাদের হাতেনাতে আটক করেন।
শেরপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, গণধর্ষণের শিকার ওই নারী বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন।
news24bd.tv/আলী