ভারতের করোনার টিকা নিয়ে অনিশ্চয়তা,রাশিয়া ও চীন থেকে আনার চেষ্টা

ভারতের করোনার টিকা নিয়ে অনিশ্চয়তা,রাশিয়া ও চীন থেকে আনার চেষ্টা

অনলাইন ডেস্ক

করোনাভাইরাসের টিকা সরবরাহ নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হওয়াই রাশিয়া ও চীন থেকে করোনার টিকা আনার চেষ্টা করছে বাংলাদেশ। দেশে করোনাভাইরাসের টিকা বন্ধু রাষ্ট্র ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট থেকে মাসে ৫০লাখ ডোজ আসার কথা ছিলো। কিন্তু চুক্তি অনুসারে দেশে গত দুই মাসে টিকার কোন চালান আসেনি। কবে টিকার চালান আসতে পারে সেই বিষয়েও কেও সুনিদির্ষ্ট করে কিছু বলতে পারছে না।

এ পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলেছে, এখন রাশিয়া এবং চীনসহ বিকল্প সব জায়গা থেকে টিকা আনার চেষ্টা করা হচ্ছে।

চুক্তির পর ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট থেকে দু'টি চালানে ৭০ লাখ ডোজ টিকা বাংলাদেশ পেয়েছে গত জানুয়ারি এবং ফেব্রুয়ারি মাসে। এছাড়া ভারত সরকারের উপহার হিসাবে দিয়েছে ৩২ লাখ ডোজ। সবমিলিয়ে বাংলাদেশের হাতে এসেছিল এক কোটি দুই লাখ ডোজ।

সরকারি হিসাবে প্রথম ডোজের টিকা যে সংখ্যক মানুষ নিয়েছেন, তাদের দ্বিতীয় ডোজ দেয়ার ক্ষেত্রে এখন প্রায় দশ লাখ ডোজ টিকার ঘাটতি রয়েছে। এদিকে সিরাম ইনস্টিটিউট আবার কবে টিকা সরবারহ করবে, তার কোন নিশ্চয়তা বাংলাদেশ পাচ্ছে না।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল বাসার মো. খুরশিদ আলম বলেছেন, এখন সিরামের সাথে যোগাযোগ রাখার পাশাপাশি বিকল্প ব্যবস্থা হিসাবে রাশিয়া এবং চীন থেকে টিকা আনার চেষ্টা করা হচ্ছে।

এদিকে, বাংলাদেশ ভারতে সিরামের সাথে তিন কোটি ডোজ টিকা কেনার যে চুক্তি করেছিল, সেই চুক্তি হয়েছিল বাংলাদেশের বেসরকারি কোম্পানি বেক্সিমোকোর মাধ্যমে। এখন এই অনিশ্চয়তা নিয়ে বেক্সিমকোর পক্ষ থেকে কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, এক জায়গার ওপর নির্ভর করার কারণে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। অবশ্য সরকার বলছে, বিকল্প বিভিন্ন দেশ থেকে টিকা আনার জোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে।  সুত্র বিবিসি বাংলা

news24bd.tv/আলী