কোটি টাকার খেয়াঘাট ময়লার ভাগাড়, পাবলিক টয়লেট হয়েছে গুদাম ঘর

কোটি টাকার খেয়াঘাট ময়লার ভাগাড়, পাবলিক টয়লেট হয়েছে গুদাম ঘর

Other

উপজেলা সদর থেকে ১০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্ব দিকে শীতলক্ষা নদীর তীরে বরমী বাজার। নদীর পূর্ব পাশে কাপাসিয়া উপজেলা এবং উত্তর পাশে গফরগাঁও উপজেলা। তিন উপজেলার লাখো মানুষের যাতায়াত এই খেয়াঘাট দিয়ে।

গাজীপুরের শ্রীপুরে শীতলক্ষ্যার বানার অংশে উপজেলার বরমী বাজারে কোটি টাকা ব্যয়ে ২০০০ সালে নির্মিত বীর মুক্তিযোদ্ধা রহমত আলী খেয়াঘাটটি যেন ময়লার ভাগাড়।

নদীর তীরের হাট-বাজারের মানববর্জ্য প্রকাশ্যেই ফেলা হচ্ছে ঘাটের উপর ও নদীতে। পাশাপাশি খেয়াঘাট ও এর আশপাশের নদীর তীরে গড়ে উঠেছে অবৈধ স্থাপনা। ঘাটের সিঁড়ি ও মূল ফটকে একাধিক হকারদের ভাসমান দোকান। সবমিলিয়ে প্রশাসনের নাকের ডগায় ঘাট ও নদী তীরের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে প্রতিনিয়ত।

news24bd.tv

হাট-বাজারের সৃষ্ট ময়লা-আবর্জনা সরাসরি নদীর তীরে ও এই খেয়াঘাটের উপর রাখা হয়েছে। এসব ময়লা গড়িয়ে পড়ছে নদীতে। এতে রূপ নিয়েছে ময়লার ভাগাড়ে। তাই প্রশাসনের নজরদারির অভাবে নদীর পরিবেশ ধ্বংস হচ্ছে। হুমকির মুখে পড়েছে নদীর জীব বৈচিত্র্য। এসব ময়লার কারণে নদীর পঁচা দুর্গন্ধযুক্ত পানির জন্য আশপাশের মানুষ অতিষ্ট।

প্রতিদিন নদী পারাপারের সময় পঁচা পানির দুর্গন্ধে বিরক্ত এ ঘাট ব্যবহার করা মানুষজন। এ খেয়া ঘাটের পাশে ময়লার ভাগাড় থাকায় অবস্থা আরো শোচনীয়। দু’পাড়েই বিদ্যালয়ের অধ্যায়নরত শিশুদের আনা-নেয়ার সময় নাকে রুমাল দিতে হচ্ছে।

news24bd.tv

শুধু তাই নয় ১০ লাখ টাকা ব্যয়ে খেয়াঘাট সংলগ্ন পাবলিক টয়লেটটি ব্যবহার করতে পারছেনা মানুষ। নির্মাণের ৩ বছর পেড়িয়ে গেলেও এখনো আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন না হওয়ার দোহাই দিয়ে টয়লেটের দুটি কক্ষ তালাবদ্ধ করে রাখা হয়েছে। তবে অনুসন্ধানে দেখা গেছে স্থানীয় প্রভাবশালী মহল টয়লেটগুলো তাদের ঘুদাম ঘর হিসাবে ব্যবহার করছে। বাহিরে তালা বদ্ধ দেখা গেলেও ভেতরে আছে সবজী ও ফলভর্তি কার্টুন। টয়লেট ব্যবহার করতে না পারায় পথচারীরা বাধ্য হয়ে নদীর তীরে মল-মুত্র ত্যাগ করে নস্ট করছে পরিবেশের ভারসাম্য।

আরও পড়ুন


কবরীর দাফনের সিদ্ধান্ত আজ সকালে

ওবায়দুল কাদের ও কাদের মির্জার বাড়িতে ককটেল হামলা

ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসের সুবর্ণজয়ন্তী আজ

কবরীর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক


এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বরমী ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অসুস্থতা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের (৭নং ওয়ার্ড) মেম্বাররের সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করেও তার সাক্ষাৎ পাওয়া যায়নি।

গণমাধ্যমের সামনে কথা বলতে রাজী হননি শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাসলিমা মোস্তারী। তবে তিনি জানান, খোঁজ নিয়ে ঘাটে ময়লা ফেলা বন্ধ ও টয়লেটটি জনসাধারণের ব্যবহারের জন্য খুলে দিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

শ্রীপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এডভোকেট সামসুল আলম প্রধান বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিলো না। খোঁজ নিয়ে জনদুর্ভোগ লাগবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ময়লা ফেলার জন্য আলাদা স্থান নির্বাচন করে বাজারের ময়লা ফেলার ব্যবস্থা করা এবং টয়লেটটি জনসাধারণের জন্য খুলে দেয়ার দাবী জানান স্থানীয়রা।

news24bd.tv আহমেদ