লিচুর তুলনামূলক কম ফলন হওয়ায় দুশ্চিন্তায় বাগানীরা

লিচুর তুলনামূলক কম ফলন হওয়ায় দুশ্চিন্তায় বাগানীরা

Other

দিনাজপুরে লিচুর ফলন তুলনামূলক কম হওয়ায় বেশ দূশ্চিন্তায় পড়েছেন বাগানীরা। তার উপর গেলো দুই তিন বছর রোজার মাসে লিচু পাকায় বেশ লোকসান গুনতে হয়েছে তাদের। পাশাপাশি একদিকে করোনা অন্যদিকে ফলন বিপর্যয় নিয়ে বেশ বিপাকেই পড়েছেন তারা। তবে এবার বাজার মূল্য ভালো পেলে ক্ষতি অনেকটা কাটিয়ে উঠা সম্ভব বলে মনে করছেন লিচু চাষীরা।

লিচুর জেলা হিসেবে পরিচিতি দিনাজপুর। জেলার ১৩টি উপজেলাতেই কম-বেশি লিচু বাগার রয়েছে। তবে দিনাজপুর সদর ও বিরল উপজেলায় বাগানের সংখ্যা বেশি। এই অঞ্চলে বম্বাই, মাদ্রাজী, বেদানা, কাঠালী, চায়না থ্রীসহ বিভিন্ন জাতের লিচুর বাগান রয়েছে।

থোকায় থোকায় ঝুলে থাকা সবুজ রঙ্গের লিচু যেন অপেক্ষায় রয়েছে জ্যৈষ্ঠ মাসের।

লিচু পাকতে এখনো সময় লাগবে দেড় মাসেরও বেশি। তাই বাগান পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পাড় করছেন বাগান মালিকেরা।

তবে এ অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি বম্বাই জাতের লিচু হয়ে থাকে। এবার সেই বম্বাই জাতের লিচু ফলন অনেক কম আসায় বেশ দুশ্চিন্তায় পড়েছেন লিচু চাষীরা। তবে অন্যান্য জাতের লিচুর ফলন ভালো হওয়ায় এবং সময় মত দাম পেলে ক্ষতি অনেকটা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব বলে মনে করছেন লিচু চাষি ও বাগানীরা। বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে আশানুরুপ ফলনের কথা জানালেন স্থানীয় কৃষি অফিসার।

কৃষি অফিসের তথ্য মতে এ জেলায় ছোট বড় সব মিলিয়ে প্রায় সাড়ে ৬ হাজার হেক্টর জমিতে লিচুর বাগান রয়েছে এবং লিচুর গাছের সংখ্যা সাড়ে সাত লাখ।

news24bd.tv / কামরুল