রিসোর্টকাণ্ডের পর দেশজুড়ে তীব্র সমালোচনার মুখে গ্রেপ্তার হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হককে বিভিন্ন বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ।
পুলিশ বলছে, তেজগাঁও থানা কমপ্লেক্সে পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বাকি দুই বিয়ের কথা স্বীকার করেছেন মামুনুল।
তিনি জানিয়েছেন, প্রথম বিয়ের পর যে দুই নারীর কথা আলোচনায় এসেছে তারা দু’জনই তার স্ত্রী। এসব বিয়ে তিনি সামাজিকভাবে গোপন রেখেছেন।
পুলিশ সূত্র জানায়, মামুনুলের নামে বিভিন্ন থানায় দায়েরকৃত জিডি ও মামলার বিষয়ে তাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। গত ১০ তারিখ মোহাম্মদপুর থানায় জান্নাতুল ফেরদৌস ওরফে লিপি নামে এক নারীর সন্ধান চেয়ে জিডি করেন তার ভাই শাহজাহান। জিডিতে লিপি নামে ওই নারীকে মামুনুলের স্ত্রী বলে উল্লেখ করা হয়।
এ বিষয়ে মামুনুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি জানান, লিপি নামে ওই নারীকেও তিনি বিয়ে করেছেন।
'বিয়ে করেছেন তো পরিবার ওই নারীর সন্ধান পাবে না কেন? বিয়েতো পাপ নয়'- জিজ্ঞাসাবাদে এমন প্রশ্নের পর নিশ্চুপ ছিলেন তিনি।
এছাড়া, মামুনুলের সঙ্গে সোনারগাঁওয়ের এক রিসোর্টে আটক নারীর বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ওই নারীকেও স্ত্রী বলে দাবি করেছেন তিনি। তাহলে প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে ফোনে অন্য কারো স্ত্রী হিসেবে পরিচয় করানোর কারণ জানতে চাইলে কোনো জবাব দেননি মামুনুল।
হযরত মোহাম্মদ (সা:) কিভাবে ঠোঁট নাড়াতেন দেখিয়ে মামুনুল হক নবিজীকে ব্যঙ্গ করেছেন, এতে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করা হয়েছে কি না, জিজ্ঞাসাবাদে এমন প্রশ্নেরও কোনো উত্তর দেননি তিনি।
গতকাল দুপুরে হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে গ্রেপ্তার করা হয়। বেলা একটায় মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এরপর তাকে নেওয়া হয় শ্যামলীতে পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনারের কার্যালয়ে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সেখান থেকে বেলা দুইটায় নেওয়া হয় তেজগাঁও থানায়।
তেজগাঁও থানায় কয়েক ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর রাতে মামুনুল হককে গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
মোহাম্মদপুর থানার একটি মারধরের মামলায় মাওলানা মামুনুলকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে ঢাকার বিভিন্ন থানায় অন্তত ১৭টি এবং নারায়ণগঞ্জে ১টি মামলা রয়েছে।
হেফাজতে ইসলামের যুগ্ন-মহাসচিব মামুনুল হক গ্রেপ্তার
যেখান থেকে গ্রেপ্তার হলেন মামুনুল হক
যে মামলায় গ্রেপ্তার হলেন মাওলানা মামুনুল হক
পরের দুই বিয়ে সামাজিকভাবে গোপন রেখেছেন মামুনুল
ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের যুগ্ম কমিশনার মো. মাহবুব আলম বলেন, মামুনুল হক এখন ডিবি হেফাজতে আছেন। সোমবার (১৯ এপ্রিল) তাকে ঢাকা মহানগর আদালতে পাঠানো হবে।
এদিন তাকে সাতদিনের রিমান্ডে চাইবে পুলিশ-এমনটাই জানিয়েছেন তেজগাঁও বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) মৃত্যুঞ্জয় দে সজল।
news24bd.tv নাজিম