তরুণীর পায়ের কয়েকটি আঙুল দেখা যাচ্ছে। এ দৃশ্য দেখে এক পথচারী পুলিশকে খবর দেয়। পরে আঙুলের মাধ্যমেই তরুণীর পরিচয় মিলেছে। রাজশাহীতে ডোবায় পড়ে থাকা ড্রামের ভেতর থেকে এক তরুণীর লাশ উদ্ধরের ঘটনা ঘটেছে।
রাজশাহীর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) সূত্রবিহীন এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটন করেছে। খুনের সঙ্গে জড়িত অভিযোগে এক পুলিশ সদস্যসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
নিহত তরুণীর নাম ননিকা রানী বর্মণ (২৩)। তাঁর বাড়ি ঠাকুরগাঁও সদরের মিলনপুর গ্রামে।
এ ঘটনায় পুলিশ কনস্টেবল নিমাই চন্দ্র সরকারকে (৪৩) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি রাজশাহী মহানগর পুলিশে কর্মরত ছিলেন। নারী কেলেঙ্কারির কারণে তিনি বরখাস্ত হয়েছিলেন। তাঁর বাড়ি পাবনার আতাইকুলা উপজেলার চরাডাঙ্গা গ্রামে। বর্তমানে তিনি রেলওয়ে পুলিশের (জিআরপি) রাজশাহী থানায় কর্মরত। রাজশাহী পিবিআইয়ের একটি দল গতকাল রোববার ভোররাতে নাটোরের লালপুরে বোনের বাড়ি থেকে নিমাইকে গ্রেপ্তার করে।
আরও পড়ুন
আরও এক সপ্তাহ কঠোর লকডাউন বাড়ছে
ঈদের আগে লকডাউন শিথিলের চিন্তা ভাবনা আছে: কাদের
কোম্পানীগঞ্জ আ. লীগের সাধারণ সম্পাদক গুলিবিদ্ধ
দিল্লিতে সর্বোচ্চ সংক্রমণ, লকডাউনের ঘোষণা
নগরের শাহমখদুম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম সরকার জানান, হত্যাকাণ্ডটি সূত্রহীন ছিল। তরুণীর লাশ উদ্ধার করে পিবিআই তাঁর আঙুলের ছাপ নেয়। আঙুলের ছাপ থেকে প্রযুক্তির মাধ্যমে তাঁর জাতীয় পরিচয়পত্র পাওয়া যায়। সেখান থেকে তাঁর ঠিকানা বের করে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। আর পুলিশ ননিকার হত্যাকারী হিসেবে নিমাইকে শনাক্ত করে।
তাঁকে গ্রেপ্তারের পর তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সহযোগী হিসেবে নগরের কাশিয়াডাঙ্গা থানার আদারীপাড়ার কবির আহম্মেদ (৩০), রাজপাড়া থানার শ্রীরামপুর এলাকার সুমন আলী (৩৪) এবং মাইক্রোবাসের চালক নগরের বিলশিমলা এলাকার আবদুর রহমানকে (২৫) গ্রেপ্তার করা হয়। যে মাইক্রোবাসে লাশ নিয়ে গিয়ে ফেলে দেওয়া হয়, সেটিও জব্দ করা হয়েছে।
কনস্টেবল নিমাই তরুণীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ছয় থেকে সাত বছর ধরে ননিকা রানীর সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক। সম্প্রতি তিনি বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছিলেন। এ কারণে তাঁকে হত্যার পর লাশ ড্রামে ভরে মাইক্রোবাসে করে ফেলে দেওয়া হয়।
news24bd.tv / কামরুল