আসুন তর্ক করি...

আসুন তর্ক করি...

Other

প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে তর্কে জড়িয়ে মূল বিষয়ের বাইরে চলে যায় বেশির ভাগ মানুষ। বিশেষ করে এদেশের মানুষের ক্ষেত্রে কথাটা, অমার মনে হয়, সবচেয়ে বেশি শতাংশের জন্য প্রযোজ্য। একটু খেয়াল করলে দেখবেন, টকশোর মতো প্রকাশ্য ও ডক্যুমেন্টেডে অনুষ্ঠানে পর্যন্ত অনেক মান্য-গণ্য ব্যক্তি লজ্জা-শরমের লেজ-মাথা সবটুকু খেয়ে অপ্রাসঙ্গিক ও অবান্তর প্রসঙ্গের অবতারণা করেন। বেহুদা ত্যানা পেঁচান।

হয়তো বলবেন, এটা রাজনৈতিক কারণে। এ যুক্তিতে সত্যতা আছে। কিন্তু তার চেয়ে বড় কথা হলো নিজের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণের, নিজেকে জাহির করার মরিয়া কিন্তু ব্যর্থ চেষ্টা। আমরা মনে করি যেন-তেন-প্রকারেণ আমাকে জিততে হবে।

কিছুতেই হারা যাবে না। এভাবে কি সব সময় জেতা যায়? যায় না। এটাও আমরা মানি, বুঝি। তারপরেও জেতার চেষ্টা, তা সে যত নগ্নভাবেই হোক, আমরা চালিয়ে যাই, যতক্ষণ শক্তি-সামর্থে কুলায়।

তর্কে জেতার অশোভন ও অশালীন চেষ্টায় শেষতক লাভের লাভ কিছুই হয় না বরং আমাদের অন্তরের অন্তস্তলে গোপন কন্দরে লুকিয়ে থাকা নানা স্তরের কুৎসিত ও রগরগে নগ্নতা সুযোগে দিনের আলোয় পরতে পরতে বেরিয়ে এসে দাঁত কেলিয়ে অশ্লীল ভঙ্গিতে নেচে-কুঁদে আমাদের নিজেদেরই ভেংচি কাটে, ব্যঙ্গ করে, রঙ্গ দেখায়, আমাদের মেকি, ঠুনকো ও বায়বীয় অহংকে কেবল ভেঙে চুরমারর্ই করে না, তাকে ধূলি-ধূসরিত করে, কাঁদাজলে মাখামাখি করে কপালে এঁকে দেয় অমোচনীয় কলঙ্কের লাজ-তিলক ।


আরও পড়ুনঃ


বাইডেনের প্রস্তাবে রাজি পুতিন

বাঙ্গি: বিনা দোষে রোষের শিকার যে ফল

একজন মিডিওকার যুবকের ১৮+ জীবনের গল্প এবং অন্যান্য

মৃত্যুতে যারা আলহামদুলিল্লাহ বলে তারা কী মানুষ?


আলাপ-আলোচনা, তর্ক-বিতর্কের লক্ষ্য হলো কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ে একটা সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া, বিতর্কের অবসান ঘটানো। অথচ প্রায়শ দেখা যায় সিদ্ধাস্তে আসা তো দূরের কথা আমরা বরং মূল বিষয় থেকে সরে গিয়ে অরো নতুন নতুন বিতর্কের জন্ম দিই। এটা এখন আমাদের একটা সাধারণ বৈশিষ্ট্যে রূপ লাভ করেছে বলে প্রতীয়মান হয়। ফলত, নিয়ত নতুন ও অভিনব বিতর্কের ফাঁদে ফেঁসে গিয়ে আমরা রূপের বাজারে নগ্নতার পসরা মেলে বাহবা কুড়ানোর হাস্যকর বাসনার কাছে নিজেদের সঁপে দিয়ে বসে আছি।

news24bd.tv / নকিব

এই রকম আরও টপিক