যে কারণে পুলিশের সাথে ‍যুবকের হাতাহাতি (ভিডিও)

যে কারণে পুলিশের সাথে ‍যুবকের হাতাহাতি (ভিডিও)

অনলাইন ডেস্ক

করোনা সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত চলমান সর্বাত্মক লকডাইনে ফেনিতে মাস্কবিহীন রাস্তায় বের হওয়ায় রিকশা থেকে নামতে বলায় পুলিশের সঙ্গে  শহিদুল ইসলাম নামে এক যুবকের হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।   রিকশা থেকে না নামায় শার্টের কলার ধরে যুবককে নামানোর কারণে পুলিশের সঙ্গে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।  

রোববার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে ফেনী মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের গেটের সামনে এ ঘটনা ঘটে। পরে সেটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রবিবার বিকেলে শহিদুল ইসলামকে লকডাউন চলাকালীন রাস্তায় বের হওয়ার কারণ জিজ্ঞাসা করলে পুলিশের সঙ্গে তার বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। এসময় তিনি পুলিশকে প্রশ্ন করেন এটাকি পুলিশি রাষ্ট্র হয়ে গেছে নাকি? একপর্যায়ে পুলিশ তাকে মারতে গেলে তিনিও পুলিশকে মারধর করতে থাকেন।

ভিডিওতে দেখা যায়, ফেনী মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে রিকশায় বসে থাকা এক যাত্রীর সঙ্গে কথা বলছেন একাধিক পুলিশ সদস্য। চলমান লকডাউনে মাস্ক পরা ও বিনা প্রয়োজনে ঘরের বাইরে চলাচল করতে বাধা প্রদান করছিলেন তারা।

এসময় ওই যাত্রীর সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় এবং তাকে রিকশা থেকে নামতে বলেন পুলিশ সদস্যরা। একপর্যায়ে ওই ব্যক্তি উচ্চস্বরে দায়িত্বরত পুলিশদের উদ্দেশে বলে ওঠেন, ‘এই দেশে পুলিশের অনেক ক্ষমতা, না!

এসময় এক পুলিশ সদস্য তাকে জোর করে রিকশা থেকে নামাতে চাইলে তাদের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। একাধারে তিনি পুলিশদের গালাগালি করতে থাকেন। একপর্যায়ে রিকশায় থাকা ওই যাত্রী আক্রমণাত্মক হয়ে উঠলে পুলিশ সদস্যরা তাকে আঘাত করেন। এসময় ওই ব্যক্তিও পুলিশদের পাল্টা আঘাত করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় একাধিক পুলিশ সদস্য তাকে ঝাপটে ধরে হ্যান্ডকাপ পরানোর চেষ্টা করেন।

এসময় তিনি হ্যান্ডকাপ পরতে অস্বীকৃতি জানান এবং গালাগালিসহ এলোপাতাড়ি হাত-পা ছুড়তে থাকেন। একই সময় তিনি উপস্থিত জনতার উদ্দেশে চিৎকার করে ভিডিও করতে বলেন।

একপর্যায়ে চার-পাঁচজন পুলিশ সদস্য তাকে হ্যান্ডকাপ পরানোর জন্য জোরপূর্বক মাটিতে ফেলে চাপ প্রয়োগ করেন। এসময় উপস্থিত জনতার তোপের মুখে তারা আবার ওই ব্যক্তিকে ধরে উঠান এবং হ্যান্ডকাপ পরান। পরে তাকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়।

স্থানীয়রা জানায়, পুলিশের সঙ্গে মারামারিতে লিপ্ত হওয়া ওই যুবকের নাম শহিদ। তিনি ফেনী সদর উপজেলার মোটবী ইউনিয়নের বাসিন্দা এবং যুবলীগের সক্রিয় সদস্য।

ফেনীর পুলিশ সুপার নুরুনবী জানান, এই ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে একজন উপ-পরিদর্শক, একজন সহকারী উপ-পরিদর্শক ও একজন কনস্টেবলকে ক্লোজড করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে বিভাগীও ব্যবস্থা নেওয়া হবে

ফেনী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. ওমর হায়দার বলেন, রোববার মডেল স্কুলের সামনে থেকে শহীদকে আটক করা হয়েছিল। তার মানসিক সমস্যা আছে। তাকে আটক করে হাজতে নেওয়ার সময় চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করেন। পরে মুচলেকা নিয়ে পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়।

এটাকি পুলিশি রাষ্ট্র হয়ে গেছে নাকি

news24bd.tv/আলী