হুইপ শামসুলের অরাজকতা, এখনো ধরা পড়েনি ব্যাংকার আত্মহত্যায় জড়িতরা

Other

ক্যাসিনোকাণ্ডে অভিযুক্ত চট্টগ্রাম ১২ আসনের সংসদ সদস্য, হুইপ শামসুল হক চৌধুরীর অবৈধ সম্পদের তদন্ত করছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক। দুদকের একটি প্রভাবশালী সূত্র জানিয়েছে, তদন্ত প্রায় শেষ পর্যায়ে। শিগগিরই হুইপ শামসুলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হতে পারে। এদিকে, ১২ দিন পার হলেও এখনও গ্রেপ্তার হয়নি চট্টগ্রামের ব্যাংক কর্মকর্তা মোর্শেদ চৌধুরীর আত্মহত্যার প্ররোচনাকারীরা।

এ নিয়ে ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করেন ব্যাংকারের বিধবা স্ত্রী।

দেশের মানুষের কাছ থেকে এখনো কাসিনোকাণ্ডের স্মৃতি মুছে যায়নি। ক্ষমতার অপব্যবহার করে একদল মানুষ কিভাবে অবৈধ জুয়া, মদ ও নারী খেলায় মত্ত হয়েছিলো তা উঠে এসেছিলো প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় চালানো সেই কাসিনো বিরোধী সেই অভিযানে। সেই অভিযান চলাকালে দুর্নীতি দমন কমিশন কাসিনোর সাথে যুক্ত দুই শতাধিক ব্যক্তির তালিকা তৈরি করে।

সেই তালিকায় অভিযুক্ত হন চট্টগ্রামের সকল অপকর্মের সাথে প্রায়ই যার নাম উঠে আসে সেই হুইপ চট্টগ্রাম-১২ আসনের সংসদ সদস্য শামসুল হক চৌধুরী। ক্ষুব্ধ শামসুল সেই অভিযানের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে সরকারের কড়া সমালোচনা করেন। জুয়া পরিচালনাকারী ক্লাব চালানোর পক্ষে জোড়ালো অবস্থান নেন।

সে সময় শামসুল হক বলেন, কোন প্রশাসন কি তাদের পাঁচ টাকা বেতন দেয়? তাহলে তারা খেলে কিভাবে। টাকাটা কিভাবে আসে সরকার কি তাদের টাকা দেয়।

তবে নানা তৎপরতা চালানো পরেও দুদক তাকে ছাড়েনি। নিউজ টোয়েন্টিফোরের সাথে আলাপকালে দুদকের একটি সূত্র জানায়, হুইপ শামসুলের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত অর্জন ও কাসিনোকাণ্ডে জড়িত থাকার তদন্ত অব্যাহত আছে। খুব শিগগিরিই তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করবে দুদক।

দুদক পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন বলেন, হুইপ শামসুলের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চলমান আছে। কাসিনোকাণ্ডের সময় তার নাম আসায় দুদক তার বিষয়ে সকল অনুসন্ধান চলমান রেখেছে।

দুদক জানায়, চট্টগাম আবহনী ক্লাব থেকে শামসুল হক বিগত বছরগুলোতে শত শত কোটি টাকা আয় করেছেন অবৈধভাবে। বিভিন্ন ক্লাবে জুয়ার আসর বসানোতে অগ্রনী ভূমিকা ছিল তার। এছাড়া অবৈধভাবে বিভিন্ন জনের জায়গা জমি ও মসজিদ দখলের অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে।

আরও পড়ুন


মান্নার উঠে আসার গল্প নিয়ে ইমরানের কণ্ঠে নতুন গান (ভিডিও)

আলেম-ওলামা নয়, তাণ্ডবের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে: কাদের

করোনা মুক্ত আবুল হায়াত পুরোপুরি সুস্থ্য

সহিংসতায় জড়িত হেফাজতের কাউকেই ছাড়া হবে না: নানক


এদিকে ব্যাংক কর্মকর্তা মোরশেদ চৌধুরীর আত্মহত্যার ঘটনায় ১২ দিন পার হলেও কোন আসামী গ্রেপ্তায় হয়নি। ভিকটিমের স্ত্রী ইশরাত জাহানের অভিযোগ হুইপ শাসসুল হকের সুযোগ্য পুত্র চট্টগ্রামের সকল অপকর্মের সাথে যার নাম হরহামেশায় উঠে আসে সেই শারুন এই ঘটনার পেছনে মূল ইন্ধন দাতা। তার নির্দেশেই আসামি জাবেদ ইকবাল, পারভেজ ইকবাল, নাইমুদ্দিন সাকিব ও শহিদুল হক চৌধুরী রাসেল ব্যাংকার মোরশেদকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করেন।

ব্যাংকার মোরশেদের স্ত্রী বলেন. ওরা যদি উধাও হয়ে গিয়ে পরবর্তীতে আমাদের বিরুদ্ধে কোন ক্ষতি করতে পারে। আমাদের নিরাপত্তা তাহলে কে দেখবে।

এদিকে চট্টগ্রামের গোয়েন্দা পুলিশ বলছে, আসামিদের শিগগিরিই গ্রেপ্তার করা হবে। তবে চট্টগ্রাম নাগরিক সমাজের অভিমত শারুন গং রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে এখনো আসামিদের ধরা ছোঁয়ার বাইরে রেখেছে। এদের গ্রেপ্তার করে পুলিশকে নিরপেক্ষতার পরিচয় দিতে হবে বলেও অভিমত তাদের।

news24bd.tv আহমেদ