উৎসব মুখর পরিবেশে সুনামগঞ্জের হাওরে ধান কাটা শুরু

উৎসব মুখর পরিবেশে সুনামগঞ্জের হাওরে ধান কাটা শুরু

Other

সুনামগঞ্জের শতাধিক হাওরে বোরো ধানকাটা শুরু হয়েছে। ১১ উপজেলার প্রত্যেক হাওরেই কমবেশি ধান কাটছেন কৃষকরা। তবে কৃষকরা বলছেন, এবছর বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় ফলন কম হচ্ছে। অনেকে শ্রমিক সংকটের কথাও জানিয়েছেন।

হাওরের জেলা সুনামগঞ্জ খাদ্য উদ্ধৃত্ত জেলা হিসেবে দেশব্যাপী পরিচিত। স্থানীয় জনগণের খাদ্য চাহিদা মিটিয়ে আরো সমপরিমান ধান উদ্ধৃত্ত থাকে জেলায়। এখন হাওরের চারদিকে কাঁচা-পাকা ধানের সমারোহ। বাতাসে দুলছে বিস্তৃত ধান ক্ষেত।

বোরো ক্ষেতের পাকা ধান কাটতে শুরু করেছেন কৃষকরা।

কৃষি বিভাগের তথ্য মতে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত ৩০ ভাগ ধান কাটা শেষ হয়েছে। চলতি বছর জেলায় ২ লাখ ১৯ হাজার ৩০০ হেক্টর বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও আবাদ হয়েছে ২ লাখ ২৩ হাজার ৩৩০ হেক্টর। এর মধ্যে বিআর ২৮ ধান ৬৭ হাজার হেক্টর এবং বিআর ২৯ ধান ৬৩ হাজার হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে। বাকি জমিতে হাইব্রিডসহ কিছু দেশীয় প্রজাতির ধান রয়েছে।

news24bd.tv

চলতি মৌসুমে হাওরে ধান লাগানোর পর কোন বৃষ্টিপাত হয়নি। যে কারণে ধান কম হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কৃষকরা। এ কারণে ফলনে কিছুটা প্রভাব পড়তে পারে বলেও মনে করছেন তারা।

আরও পড়ুন


রিমান্ডে যে সব গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন ‘শিশু বক্তা’

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে শীর্ষ পাঁচে ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক

বান্দরবানে ভাল্লুকের আক্রমণে কৃষক আহত

খুলনা সিটি মেয়রের আইসিটি মামলায় সাংবাদিক আবু তৈয়ব গ্রেপ্তার


তবে কৃষি বিভাগ বলছে, ফলনে তেমন তারতম্য হবেনা। কৃষকরা জানিয়েছেন হাওরের বোরো ধান পাকতে শুরু করেছে। কিন্তু বরাবরের মতো এবারও শ্রমিক সংকট দেখা দিয়েছে। প্রশাসন ইতোমধ্যে ১০৭টি ধান কাটার যন্ত্র ভর্তুকিতে কৃষকদের দিয়েছে। সেই যন্ত্র দিয়েও অনেক স্থানে ধান কাটা চলছে। তাছাড়া সরকারিভাবে পাবনা, সিরাজগঞ্জ, হবিগঞ্জ, নেত্রকোণা, কিশোরগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থান থেকে ধান কাটার জন্য শ্রমিক নিয়ে আসা হচ্ছে। এই মাসের মধ্যেই প্রায় শতভাগ ধান কাটা শেষ হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

news24bd.tv

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. ফরিদুল হাসান বলছেন, ধানকাটা শুরু হয়ে গেছে। শ্রমিক সংকট দূর করতে সরকার ধান কাটার যন্ত্র দিয়েছে। বিশেষ ব্যবস্থায় নিয়ে আসা হচ্ছে বাইরের জেলার শ্রমিকদের। মৌসুমে বৃষ্টিপাত না হলেও ধানের ফলনে তারতম্য হবেনা বলেও জানান তিনি।

সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, আবহাওয়া যদি আমাদের অনুকুলে থাকে তাহলে আগামী ৩০ তারিখের মধ্যে হাওরের সর্ম্পূণ ধান আমরা কেটে ফেলতে পারব। কারণ ধান কাটার জন্য পর্যাপ্ত শ্রমিক এবং প্রত্যেকটি হাওরের ধান কাটার মেশিন দেওয়া হয়েছে। যদি হাওরের ধান কটার জন্য আরো শ্রমিক প্রয়োজন হয় তাহলে আমরা সেটা ব্যবস্থা করে দিব।

news24bd.tv আহমেদ