প্রচণ্ড গরমে হাঁপিয়ে উঠছে যশোরবাসী

প্রচণ্ড গরমে হাঁপিয়ে উঠছে যশোরবাসী

Other

প্রচণ্ড তাপদাহে পুড়ছে যশোর অঞ্চল। মাত্রারিক্ত গরমের কারণে নাকাল খেটে খাওয়া মানুষ। তীব্র গরমে দেখা দিয়েছে নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা। জরুরি কাজ ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না সাধারণ মানুষ।

সবচেয়ে বেশি সমস্যা হচ্ছে

রোজাদারদের। এ অবস্থায় তাদের পানি শূন্যতা দেখা দিচ্ছে। সেই সাথে হচ্ছে বিভিন্ন রোগ। গরমে বিশুদ্ধ পানি ও রোজাদারদের ফলমূল খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন, বনভূমি উজাড়, নদী মারাসহ বিভিন্ন কারণে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

যশোর আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য মতে, গত দু’দিন (সোম ও মঙ্গলবার) ধরে দেশের মধ্যে যশোরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যথাক্রমে ৪০ ও ৩৯.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। খুলনা বিভাগে এ তাপদাহ চলবে আরো ৩/৪ দিন। ফলে খাঁ
খাঁ রোদে পুড়ছে গোটা যশোর অঞ্চল। সকাল থেকেই সূর্যের বিচ্ছুরণে মধ্যবেলায় প্রকৃতি নেয় অগ্নিরূপ। ভ্যাপসা গরমে একটু প্রশান্তির আশায় কেউ কেউ ভিড় জমাচ্ছেন সরবতের দোকানে। কাঠফাটা রোদে চিল-চাতকের মতো হাঁসফাঁসে ওষ্ঠাগত হয়ে উঠেছে সকল শ্রেণির মানুষের জীবন। আর রোজাদারদের সেই কষ্টের যেন অন্ত নেই। বাড়ছে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা। কড়া রোদ্রে সরব উপস্থিতি ফসলের ক্ষেত। হঠাৎ করে গরম বেড়ে যাওয়ায় অস্থির জনজীবন। এর মধ্যে দিয়েই কাজ করতে হচ্ছে শ্রমজীবী মানুষের।


ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তাণ্ডবের ঘটনায় ২৪ ঘণ্টায় গ্রেপ্তার ১১

ভিপি নুরের নামে আরও এক মামলা

নাটোরের বড়াইগ্রামে দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে চালক নিহত


রিকশাচালক মুনছুর আলী বলেন, রমজান মাসে এই লকডাউনে নিতান্তই পেটের দায়ে ঘর থেকে বের হয়েছি। কিন্তু প্রচন্ড গরমে রিকশা চালাতে পারছি না। বৈশাখের তাপদাহে বোরা ধান কাটতে ব্যস্ত যশোর সদর উপজেলার মুনসেফপুর
গ্রামের আকরাম হোসেন। তবে প্রচণ্ড গরমের কারণে ধান কাটতে সমস্যা হচ্ছে। তাপমাত্রার এ ঊর্ধ্বগতি জনজীবনকে দুর্বিষহ করে তোলার পাশাপাশি নানা রোগেও আক্রান্ত হচ্ছে সাধারণ মানুষ। এর থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে প্রচুর পরিমাণে বিশুদ্ধ পানি, লবণ পানির সরবত বা ডাবের পানি এবং ইফতারিতে ভাজা পোড়া বাদ দিয়ে ফল জাতীয় খাওয়ার পরামর্শ দিলেন যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. আব্দুর রহিম মন্ডল।

যশোর সরকারি এমএম কলেজের সহযোগী অধ্যাপক মো. ছোলজার রহমান বলেন, ‘বৈশ্বিক জলবায়ু বদলের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের খুব বেশি কিছু করার নেই। তবে আমরা যদি উপকূলীয় এলাকায় নদীর পানি প্রবাহ বাড়াতে পারি, সেখানে
বনভূমি রক্ষা ও গাছপালা বাড়াতে পারি, তাহলে বৃষ্টিপাত বেড়ে তাপমাত্রা কিছুটা হলেও কমানো যাবে। বিশেষ করে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর গরমকালের কষ্ট কমবে।

চিকিৎসকরা এই গরমের মাঝে সচেতনভাবে জীবনযাপন করে সুস্থ থাকতে বলছেন। আর সাধারণ মানুষ স্বস্তি পেতে তাকিয়ে আছেন বৃষ্টির দিকে।

news24bd.tv তৌহিদ

সম্পর্কিত খবর