একদিকে লকডাউন। অন্যদিকে রমজান। সব মিলে ঊর্ধ্বমুখী রাঙামাটির নিত্যপণ্যের বাজার। যা নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে।
প্রশাসনের নজরদারি না থাকায় একেবারেই নিয়ন্ত্রণহীন বাজার বলছেন ভূক্তভোগীরা। তবে রাঙামাটি জেলা প্রশাসন বলছেন অভিযোগ পেলে নেওয়া হচ্ছে ব্যবস্থা।রাঙামাটির বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, করোনার এ মহামারীতেও জমজমাট রাঙামাটির হাট-বাজারগুলো। ক্রেতা-বিক্রেতার সাথে আনাগোনা আছে সাধারণ মানুষের।
ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বর্তমানে মিনিকেট চাল কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে-৬০ থেকে ৬৫, সিদ্ধ-৫০ থেকে ৫৫। ছোলা কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে-৭০থেকে ৮০টাকা। খেসারী ডাল কেজি প্রতি-৮০ থেকে ১১০টাকা। তেল প্রতি লিটার ১৩৫ থেকে ১৪০। পেঁয়াজ-৩৫ থেকে ৪০টাকা। রসুন ১২০ থেকে ১৩০টাকা। আদা ১২০ থেকে ১৪০টাকা। শুধু নিত্য পণ্য নয়, একই অবস্থা মাছ, মাংশ ও সবজির বাজারে। প্রতিটি পণ্যের ২০ থেকে ৪০টাকা বেশি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তাণ্ডবের ঘটনায় ২৪ ঘণ্টায় গ্রেপ্তার ১১
নাটোরের বড়াইগ্রামে দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে চালক নিহত
তবে এ কথা স্বীকার করতে নারাজ ব্যবসায়ীরা। দায় সাড়তে দিচ্ছেন নানা অজুহাত।
এব্যাপারে রাঙামাটি বনরূপা বাজারের ব্যবসায়ী কাজল দে বলছেন, প্রশাসনের নির্ধারিত দামে বিক্রি হচ্ছে সব পণ্য। তাই দাম বাড়তি নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তবে লকডাইনের কারণে পণ্য সামগ্রী সংগ্রহ করতে কিছুটা হিমশিম খেতে হচ্ছে। একই অজুহাত দিলেন আর এক ব্যবসায়ী ননা বড়ূয়া।
তিনি বলেন, আমদানী ঠিক না থাকলে দাম তো বৃদ্ধি হবেই। বেশি দামে ক্রয় করার কারণে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। এতে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কোনো দোষ নেই।
তবে রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মো. মিজানুর রহমান জানান, বাজারদর নিয়ন্ত্রণে রাখতে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। কোনো অসাধু ব্যবসায়ীকে ছাড় দেওয়া হচ্ছে না। যারা নির্ধারিত দামের বেশি দাম নিচ্ছে তাদেরকে অভিযোগের ভিত্তিতে শাস্তি দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া সাধারণ মানুষের জন্য টিসিভির পণ্য সরবরাহ অব্যাহত
রয়েছে।
news24bd.tv তৌহিদ