করোনার কারণে সরকার ঘোষিত চলমান কঠোর লকডাউনে জননিরাপত্তার স্বার্থে অফিস আদালত বন্ধ রাখার ঘোষণা করলেও গরিব অসহায় মানুষদের কাছ থেকে জোরপূর্বক ভাবে কিস্তির টাকা আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে বিপাকে পড়েছে ঋণগ্রহীতারা।
বুধবার (২১ এপ্রিল) ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রুহিয়ার ঘনিমহেষপুর গ্রামে ব্র্যাক কর্মচারী জহিরুল ইসলাম ঋণগ্রহীতাদের কাছ থেকে কিস্তির টাকা আদায় করেন।
ঋণগ্রহীতারা অভিযোগ করে বলেন, ব্যাক থেকে আমাদের মোবাইল ফোনে বলা হয়েছে কিস্তির টাকা জোগাড় করে রাখতে।
আজ বুধবার সকালে জহিরুল ইসলাম স্যার প্রত্যেক বাড়িতে গিয়ে জোড় করে টাকা নেয়। আমাদের কাছে টাকা ছিল না বলে তিনি ধমক দিয়ে কথা বলেন।আমরা করোনার ছুটির কথা বললে তিনি বলেন, আমরা করোনা মানি না, আপনাদেরকে বলা হয়েছে টাকা জোগাড় করে রাখার জন্য। আপনারা টাকা নিয়ে আসেন।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিয়ে করলেন শামীম-সারিকা!
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মারা গেল ৯৫ জন
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্ত ৪২৮০
‘শিশুবক্তা’ রফিকুল ইসলাম এক দিনের রিমান্ডে
ঋণগ্রহীতা এক নারী বলেন, আমার স্বামী ভ্যান গাড়ি চালায়। কিন্তু লকডাউনের কােন গাড়ি চালাতে পারেন না। কোন মতো খেয়ে বেঁচে আছি। এনজিওর লোকেরা কিস্তি নিতে বাড়ি এসে বসে থাকছে। দিতে না পারলে নানা ভাবে শাসানো হচ্ছে। লকডাউন চলাকালে কিস্তি বন্ধ না করলে আমাদেরকে না খেয়ে মরতে হবে।
এবিষয়ে ব্যাক অফিসার জহিরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি কথা বলতে রাজী হননি।
এ ব্যাপারে সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, করোনা ভাইরাসের জন্য দেশের সকল সরকারি বেসরকারী আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। কেউ কোন প্রকার কিস্তি আদায় করতে পারবে না। আর রুহিয়া ব্র্যাক অফিসের বিষয়টি আমি আইনগত ভাবে ব্যবস্থা নেব।
news24bd.tv / কামরুল