আপনাদের নেতিবাচক রিপোর্টিং লকডাউনকে অকার্যকর করছে

আপনাদের নেতিবাচক রিপোর্টিং লকডাউনকে অকার্যকর করছে

Other

হ্যালো টেলিভিশন! আমাদের টিভিগুলো গত ৫/৬ দিন ধরে কেবলই বলছে মানুষ লকডাউন মানছে না, উপেক্ষা করছে,নানা অজুহাতে রাস্তায় আসছে । আমার প্রশ্ন হচ্ছে,মিডিয়া স্বাভাবিক সময়ের সাথে তুলনা করে দেখাক কত পার্সেন্ট মানুষ এখন রাস্তায় আর কত পার্সেন্ট মানুষ এখন স্বেচ্ছায়ই হোক আর অনিচ্ছাতেই হোক বাড়িতে থাকতে বাধ্য হচ্ছেন।

এটা সত্য,নির্মমসত্য যে,শহরের শ্রমজীবী মানুষের অনেকেই পেটের তাগিদে রাস্তায়। কই তারা যে লকডাউনে কোন দিক থেকেই কোন সাহায্য পাচ্ছে না সেটার জন্যতো স্পেশাল কোন নিউজ আইটেম একটি টিভিতেও দেখলাম না,খালি দেখছি,খালি শুনছি,মানুষ লকডাউন মানতে চাইছে না,মানছে না।


লকডাউনের অবস্থা যত খারাপই হোক এখনও তা ৮০ থেকে ৮৫ ভাগ মানুষকে ঘরে রাখতে পেরেছে। করোনা সংক্রমন রোধে এটুকুও অনেক বড় ভূমিকা রাখবে।

আপনারা রাস্তায় যে মানুষ দেখছেন,রিক্সা অটোবাইক দেখছেন মিলকারখানা, গার্মেন্ট বন্ধ থাকলে তার সিকিও দেখতেন না। এগুলো যে খোলা, কারখানার মালিকরা নিজস্ব পরিবহন দিয়ে তাদের আনবে, নেবে বলে সরকারকে কথা দিয়েছিল,তারা সেটা করেনি,করলে রাস্তায় ভীর কম হত।


ভাবুন একবার ঢাকা শহরসহ বড় বড় শহরের শপিংমল, মার্কেট,অফিস খোলা থাকলে প্রতিদিন কত লক্ষ লোককে রাস্তায়,শপিংমলে,রেস্টুরেন্টে, হোটেলে দেখতেন সে হিসাবটা মেলান। এইসব জায়গার মানুষ কিন্তু এখন বাইরে নেই।

আপনাদের এই নেতিবাচক রিপোর্টিং লকডাউনকে ধীরে ধীরে অকার্যকর করছে। লকডাউন নিয়ে  সাধারণ মানুষের যে প্রতিক্রিয়াকে আপনারা হাইলাইট করছেন সেটা মূলত লকডাউন বিরোধী জনমতকে উষ্কে দিচ্ছে।

ভাবুন আরেকবার। লকডাউনের পক্ষে কথা বলুন,লকডাউনে অসহায়,কর্মহীন মানুষদের সরকারি বেসরকারি সহায়তা না পাবার কথা জোরে বলুন,বিত্তবানদের সহায়তার জন্য উদ্বুদ্ধ করুন। এটিই সময়ের চাহিদা,বাস্তবতা।

সাইফুদ্দিন আহমেদ নান্নু'র ফেসবুক থেকে নেওয়া

news24bd.tv/আলী