ক'দিন আগের ঘটনা সাংবাদিকের লাইভের মাঝে ঢুকে ১০ থেকে ১২ বছর বয়সী এক পথশিশু লকডাউন নিয়ে কিছু মন্তব্য করেছিল। যা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। ওই ভিডিও ক্লিপে বলা শিশুটির কথাগুলো আলোড়ন তুলে দেশব্যাপী।
এরইমাঝে ওই শিশুর আরেকটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়।
ছবিতে দেখা যায় তার চোখে-মুখে মারের জখম, একটি চোখের নিচে ফুলে উঠেছে।ওই ছবিটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফেসবুকে গুঞ্জন শুরু হয়েছে, লকডাউন প্রসঙ্গে নেতিবাচক মন্তব্য করায় কোনো একটি পক্ষের রোষানলে পড়েছে শিশুটি। তাই তাকে মারধর করা হয়েছে। এই ঘটনা আবারও ভাইরাল হয়ে পড়ে নেট দুনিয়ায়।
এমন পরিস্থিতিতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সাংবাদিকদের লাইভে এসে লকডাউন নিয়ে প্রশ্ন তোলা শিশুর নাম, মো. মারুফ। সে একজন পথশিশু। বাবা-মা সঙ্গে থাকে না সে। রাজধানীর কোটকাচারি, জগন্নাথ কলেজ, ভিক্টোরিয়া পার্ক,সদরঘাটসহ পুরান ঢাকার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে বেড়ানোই তার কাজ।
কে বা কাহারা তাকে মেরেছে সেই প্রশ্ন খুঁজতে গেলে স্থানীয়দের অনেকের দাবি, মারুফের সঙ্গে তার এলাকার পথশিশুদের মারামারিতেই এই জখমের ঘটনা ঘটেছে।
আরও পড়ুন
যশোরে জেলা পরিষদ সুপার মার্কেট আগুনে পুড়ে ছাই
পাকিস্তানের বিলাসবহুল হোটেলে ভয়াবহ বোমা বিস্ফোরণে নিহত ৪, আহত ১১
যাদের জন্য রমজানে রোজা রাখা বাধ্যতামূলক
যেভাবে ইসলামের দাওয়াত দিতেন বিশ্বনবী
বুধবার বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা মারুফকে খুঁজে বের করেন। তাকে তার জখমের বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হয়। মারুফ জানায়, লকডাউন নিয়ে এমন বক্তব্য দেওয়াতেই তাকে মারা হয়েছে। রাত ১০ টায় কোর্ট প্রাঙ্গনেই তাকে মারা হয়েছে।
মারুফের বিষয়ে সদরঘাটের রিকশাচালক, দোকানদাররা জানিয়েছেন, শিশুটি ছিন্নমূল। পার্ক, ফুটপাতে ঘুমায়। কেউ খাবার দিলে খায়, আবার অনেক সময় চেয়ে নিয়ে খায়। সে মাদকাসক্ত। ডান্ডি নামক এক মাদক সেবন করে সে।
অনেকের মতে, লকডাউন নয়, হয়তো ডান্ডি সেবনের কারণে পুলিশ তাকে শাসিয়েছে বা মেরেছে। এমনটা এসব পথশিশুদের সঙ্গে হয় প্রায়ই। নেশা বা টাকা-পয়সা নিয়ে বন্ধুদের মধ্যেও প্রায়ই মারামারি হয় মারুফের। এটা ওদের জন্য স্বাভাবিক।
মারুফের বিষয়ে প্কোতয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান এক গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি ওই শিশু বা ভাইরাল কোনো ঘটনার বিষয়ে এখন পর্যন্ত জানি না। ’
news24bd.tv আহমেদ