সকাল থেকে মার্কেট খুলেছেন রাজশাহীর ব্যবসায়ীরা

সকাল থেকে মার্কেট খুলেছেন রাজশাহীর ব্যবসায়ীরা

অনলাইন ডেস্ক

মার্কেট খোলার দাবিতে আন্দোলনের ঘোষণার পর রাজশাহী নগরের সাহেব বাজার আরডিএ মার্কেট খুলেছেন ব্যবসায়ীরা।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল নয়টা থেকে তাঁরা দোকান খুলতে শুরু করেন।

এদিকে দোকান খুলে দিতে ব্যবসায়ী নেতারা রাজশাহীর জেলা প্রশাসকের সঙ্গে বৈঠকে বসেন।

জেলা প্রশাসক তাঁদের ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত ধৈর্য ধরতে বলেন।

জেলা প্রশাসক আবদুল জলিলের সঙ্গে বৈঠক করে দোকান বন্ধ করবেন বলে জানায় ব্যবসায়ীরা।

জেলা প্রশাসক বলেন, ব্যবসায়ীরা তাঁর কাছে প্রতিশ্রুতি দিয়ে গেছেন। ২৮ এপ্রিলের পর সরকার লকডাউন শিথিল করলে তাঁরা ব্যবসা করার সুযোগ পাবেন। আজ দোকান বন্ধ করবেন।

তবে বেলা একটা পর্যন্ত সাহেববাজার আরডিএ মার্কেটে এ ঘোষণা অনুযায়ী কোনো দোকানই বন্ধ করা হয়নি।

পুলিশ দোকান খুলতে বাধা না দিলেও রাস্তার যানবাহন চলাচলে বাধা দিচ্ছেন। তবে মার্কেটের পেছন দিক দিয়ে ক্রেতাদের ঢুকতে দেখা গেছে।

রাজশাহীতে ৮ এপ্রিল ব্যবসায়ীরা সংবাদ সম্মেলন করে ঈদের আগে লকডাউনের বিকল্প ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছিলেন।

তাঁরা প্রয়োজনে জেলা প্রশাসন, পুলিশ, জনপ্রতিনিধি ও বিভিন্ন বাজার প্রতিনিধির সমন্বয়ে কমিটি করে বাজারের স্বাস্থ্যবিধি তদারক করার প্রস্তাব করেছিলেন।

তাঁরা বলছিলেন, প্রায় ১৩ মাস ধরে তাঁরা লোকসান গুনছেন। বর্তমানে প্রতিটি ব্যবসায়ী পুঁজি হারিয়ে ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়ছেন। এ অবস্থা চলতে থাকলে দোকানের মালিক ও কর্মচারীদের পথে বসা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না।

এরপরও প্রশাসনের পক্ষ থেকে দোকান খোলার কোনো অনুমতি না পেয়ে ব্যবসায়ীরা আজ সকালে দোকান খুলে ফেলেন। তাৎক্ষণিক দোকানে কিছু ক্রেতাও আসতে শুরু করেছেন। তাঁরা অন্য কাজে এসে দোকান খোলা দেখে বাজারে ঢুকে পড়েছেন।

দোকানে বাচ্চাদের জন্য কাপড় পছন্দ করতে আসা মিনা বিন মুকুল বলেন, তিনি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। গেলে টাকা পান, না গেলে পান না। লকডাউনে গাড়ি বন্ধ থাকার কারণে মানুষ আসতে পারছে না। তাঁর চাকরিও চলছে না। তাঁর স্বামীর ভাতের হোটেল আছে। সেটাও তিনি খুলতে পারছেন না। তিনটা বাচ্চাকে বোঝাতে পারছেন না যে তাঁরা সমস্যায় আছেন।

তিনি বলেন, লকডাউন দিলে বাসায় বাসায় খাবার পৌঁছে দিতে হবে।

দোকানি নাজমুল হক বললেন, তাঁর দুই ছেলে। এক ছেলে উচ্চমাধ্যমিক ও অন্য ছেলে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে। তাদের পেছনে খরচ আছে। ১৫ হাজার টাকা দোকানভাড়া। ব্যবসা না হলেও দিতে হচ্ছে। গত এক বছর নিজের দুই লাখ টাকা পুঁজি শেষ করে পাঁচ লাখ টাকার ঋণে পড়েছেন। তাঁদের বাঁচার উপায় নেই।

শেখ কালেশন নামের একটি পোশাকের দোকানের কর্মচারীরাও দোকান খুলে বসেছেন। কিন্তু তাঁদের দোকানে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত কোনো ক্রেতা নেই।

তাঁরা বলেন, ক্রেতারা তো জানেন না যে দোকান খোলা পাওয়া যাবে। লকডাউনে তাঁরা বাইরে আসেননি। চলতি পথের ক্রেতারা ছোট দোকানগুলোতে ঢুঁ মারছেন। এখন দেখা যাক।

news24bd.tv তৌহিদ