হিরো আলমের চাইনিজ গানের পর থেকে আমাদের কষ্ট শুরু

হিরো আলমের চাইনিজ গানের পর থেকে আমাদের কষ্ট শুরু

Other

হিরো আলমের আরবি গান
ঢাকা শহরে যত্রতত্র এবং উম্মুক্ত জায়গায় মূত্র বিসর্জনের হাত থেকে রেহাই পেতে বেশ আগে ধর্ম মন্ত্রণালয় এক ইউনিক কনসেপ্ট বের করেছিলেন। যেসব জয়গায় মানুষ সহজে দাঁড়িয়ে যায় কিংবা লুঙ্গি উঠিয়ে বসে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে সেখানটায় লিখে দিলেন- يحظر التبول هنا  "ইয়াহঝুর আলবাতাউল হুনা"( এখানে প্রসাব করা নিষেধ। ) ব্যস, আর কিছুই করা লাগলো না। লুঙ্গি উঠাতে গিয়েই এ লেখা দেখার সাথে সাথে মূত্র উর্দ্ধগামী।

অথচ এর আগে কত "প্রসাব করা নিষেধ" কে যে তীব্রতায় দেয়াল থেকে মুছে দিয়েছে তার ইয়ত্তা নাই।

আহ! আরবীর প্রতি কত সম্মান আমাদের! এ  দুর্বলতার সুযোগে পবিত্র রমজানে  হিরো আলম আরবী গান নিয়ে হাজির। বাংলা,হিন্দি, ইংলিশ, চাইনিজ এবং সর্বশেষ আরবি। মারহাবা!  বাংলা,হিন্দি এমনকি ইংলিশ পর্যন্ত মেনে নিয়েছি।

 

তবে চাইনিজ গানের পর থেকে আমাদের কষ্ট শুরু।

বাংলাদেশী এক লোকের এক চীনা বন্ধু ছিল, নাম তার চিং হোয়াই। তার সাথে  দীর্ঘদিনের বন্ধুত্ব হলেও লোকটি চীনা ভাষা জানে না। চিং হোয়াইও চীনা ভাষা ছাড়া আর কোনো ভাষা জানে না। কয়েক মাস আগে দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল চিং। ওর সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে দেখে, বেচারার করুণ হাল। নাকে-মুখে অক্সিজেনের নল লাগানো। বাংলাদেশী বন্ধু কে কাছে পেয়েই ও কাতর হয়ে উঠল, বলল, ‘লি কায় ওয়াং কি গুয়ান', বলতে বলতেই বেচারা শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করল। অনেকদিন পর এক দোভাষীকে পেয়ে বন্ধুর বিদায় বেলায় বলে যাওয়া কথাটির জানতে চাইলো আমাদের দেশীয় লোকটি। অর্থটা খুব সহজ ‘ভাই দয়া করে অক্সিজেনের নলটার ওপর থেকে একটু সরে দাঁড়াও!'

এর মধ্যে আবার আরবদের পোশাকে  আরবি  গান  নিয়ে উপস্থিত হিরো আলম। তিনি কি জানেন না আমাদের আরবীর হালত "মাফি মুশকিল" টাইপ!

মজনু নামে একজন সৌদি আরবে গিয়ে বাড়িতে ফোন কর বলে," এখানে সব কিছু আরবিতে শুধু আযানটা বাংলায় "। মজনু যার  অধীনে গেছে সে সৌদি তারে জিজ্ঞেস করে, "হাল এইনদিক আকামা?" মজনু বলে "আমি এদিক ওদিক কোনদিকে কোন আকাম করিনাই। " এ কথা শুনে সৌদি কয়, "হাল আনতা মজনুন? মজনু মনে মনে বলে "শালা নামটাও তো জাইনা ফালাইছে"।

এ যখন আমাদের "আরবীর" অবস্থা, হিরো আলম, আপনি কোন দুঃখে আমাদের আরবী গান শোনাতে গেলেন।

অবশ্য চট্টগ্রামের কিছু মানুষ বলেছেন "আরবি গানটি  ভাল হয়েছে,আরবিকে আমরা একটু বেশি মহব্বত করি। " ঠিক আছে, কিন্তু আপনাদের ভাল লাগলেও তা অন্যদের কষ্টের কারণ হতে পারে-

ভিন্ন ড্রিস্ট্রিকের একজন কৃষি অফিসার চট্টগ্রামে বদলি আসলেন। তিনি এক কৃষককে উন্নত ধানের বীজ দিলেন চাষের জন্য । কয়েকমাস পর তিনি কৃষককে জিজ্ঞেস করলেন," ধান কেমন হয়েছে?
কৃষক বলে, " ধান গম অইয়্যি"
অফিসার চিন্তায় পড়ে গেলেন, "দিলাম ধান হইলো গম!

নজরুল ইসলাম​ (ফেসবুক থেকে নেয়া)

news24bd.tv/আলী