দিন শেষে মৃত্যু একটা সংখ্যামাত্র কিন্ত পরিবারের কাছে আমরাই সব

দিন শেষে মৃত্যু একটা সংখ্যামাত্র কিন্ত পরিবারের কাছে আমরাই সব

Other

আগামীকাল থেকে শপিংমল, দোকানপাট খুলে যাচ্ছে। সরকারকে বাধ্য হয়েই খুলে দিতে হচ্ছে। কাল থেকে আমরা দোকানে যাবো, শপিং মলে যাবো। ঈদে আনন্দ করার জন্য বিভিন্ন পণ্য কিনবো (বেশীরভাগই শখের জিনিস, অত্যাবশ্যকীয় পণ্য না)।

আমাদের শখের পণ্য কিনতে বিভিন্ন অফারের জন্য ভীড় করবো। হাইকাউ মারামারি করবো। স্বাস্থ্যবিধিকে সিকেতে তুলে রাখবো। এরপরে আমাদের মাঝে কিছু মানুষের কিছুই হবে না।

তারা সুস্থ্য থাকবে আর বলে বেড়াবে করোনা মিডিয়ার সৃষ্টি।

আর কিছু মানুষ করোনাতে আক্রান্ত হবে। শ্বাস নিতে কষ্ট হবে তাদের। প্রচন্ড শরীর ব্যাথা হবে। একটু অক্সিজেনের জন্য হাসফাস করতে থাকবে। এমন অবস্থায় তারা হাসপাতালে যাবে। কিছু ভাগ্যবান হাসপাতালে বিছানা পাবে, অক্সিজেন পাবে, আইসিইউও পাবে। তারা আল্লাহর দয়ায় সুস্থ হবেন। তাদের প্রায় সকলের ৫ থেকে ৩০ লাখ টাকা খরচ হয়ে যাবে যেটা তাদের অনেকের সারা জীবনের সঞ্চয়। অনেকের জীবন বাঁচাতে করা ধারদেনা বেঁচে ওঠা জীবনকে করে ফেলবে অতিষ্ঠ।

অনেকে ৫-৩০ লক্ষ টাকা খরচ করবেন, কিন্তু বাঁচতে পারবেন না। রেখে যাওয়া পরিবারের মেরুদন্ড মারা যেতে যেতে ভেঙ্গে দিয়ে যাবেন তিনি। আর বেশীরভাগ মানুষ হাসপাতালে বেড পাবে না, অক্সিজেন পাবে না, সঠিক চিকিৎসা পাবে না। কিছু মানুষ তার মাঝেও বেঁচে ফিরবে কিন্তু বেশীরভাগ ধুকে ধুকে কষ্ট করে মারা যাবে।

আরও পড়ুন


হুইপ পুত্র শারুনসহ দোষীদের বিচার দাবি ব্যাংকার মোর্শেদের স্ত্রীর

আরমানিটোলার আগুনে দগ্ধ সেই নবদম্পতি লাইফ সাপোর্টে

সাবেক স্বামীর বর্তমান প্রেমিকাকে নিয়ে যা বললেন শবনম ফারিয়া

গাজীপুরে কবর থেকে ৩টি কঙ্কাল চুরি


মারা যাওয়া মানুষের, অসুস্থ হওয়া মানুষের, চিকিৎসা না পাওয়া মানুষের পরিচিত থেকে শুরু করে সবাই তখন আমরা সরকারকে গালি দিবো। কেনো যথেষ্ঠ চিকিৎসার ব্যাবস্থা করা হয় নি। কেনো হাসপাতাল নেই। সরকারের দোষ সবাই আমরা ধরে ধরে দেখিয়ে দিবো। কিন্তু কেউ নিজের / নিজেদের দোষ বলবো না। কেনো শপিংমল গেলাম? কেনো রেস্টুরেন্টে আড্ডা দিলাম, কেনো এমনিতে ঘুরতে বের হলাম?

দিন শেষে অসুস্থ হওয়া, মারা যাওয়া আমরা সরকারের কাছে, সমাজের কাছে একটা সংখ্যামাত্র। কিন্তু নিজের কাছে, পরিবারের কাছে আমরাই সব। তাই আমাদেরটা আমাদেরই বুঝতে হবে। ভারতের অবস্থা আমরা দেখছি। মৃত্যুর থাবা দেখছি।

নিজেকে বিনা কারণে (বিনা কারণ বলতে যা জীবন ধারণের জন্য অত্যাবশ্যকিয় নয়, মানে যা না করলে কাল অথবা তার পরের দিন আমার জীবন ঝুঁকিতে পরবে) বাহিরে যাওয়া থেকে বিরত রাখতে না পারলে, তার জন্য নিজের / পরিবারের ক্ষতির জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। কাফনের কাপড়ও ঈদের জামা হতে পারে। মনে রাখিয়েন।

news24bd.tv আহমেদ

সম্পর্কিত খবর