শীতকাল হোক কিংবা গরমকাল সবসময়েই রাস্তায় আখের রস দেখতে পাওয়াই যায়। এক গ্লাস আখের রস খেলেই যেন ক্লান্তি দূর হয়ে যায়। তাই আখের রসকে প্রাকৃতিক এনার্জি ড্রিঙ্ক বলা হয়। তবে শুধুমাত্র ক্লান্তি দূর করতেই নয় ত্বকের জন্য এবং শরীরের জন্যও যথেষ্ট উপকারি হল আখের রস।

আখে প্রচুর ক্যালশিয়াম থাকে, তাই নিয়মিত তা সেবন করলে দাঁত, নখ আর হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। আখ যদি চিবিয়ে খাওয়া যায়, তা হলে আপনার মাড়ির স্বাস্থ্য ভালো থাকবে, দাঁতের ক্ষয় রোধ হবে, মুখের দুর্গন্ধও কমে যাবে। দেখে নিন এর বেশ কিছু উপকারিতা-

ডায়াবিটিসের মতো রোগ দূরে থাকে
খেতে মিষ্টি হলেও এটি ডায়াবেটিসের পক্ষে খুবই কার্যকরি। এতে জিআই-এর পরিমাণ খুব কম থাকে।

তাই ডায়াবেটিস রোগীদের নিয়ম খরে আখের রস খাওয়া পরামর্শ দেওয়া হয়। তবে ডায়াবেটিকদের একবার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে আখের রস খাওয়া উচিত।

কারণ জেনে নেওয়া উচিত এই রসটি খেলে তাদের শরীরে আর কোনও সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা থাকে কিনা!

হৃদরোগ উপশম
একাধিক গবষণায় দেখা গেছে প্রতিদিন ডায়েটে আখের রসকে জায়গা করে দিলে একাধিক রোগ ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না। এই প্রাকৃতিক উপাদানটিতে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম,ফসফরাস, আয়রন, জিঙ্ক, পটাশিয়াম এবং আরও সব উপকারি উপাদান নানাভাবে শরীরের উপকারে আসে।

হার্ট ভালো রাখতে সাহায্য করে এই রস। হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধেও সাহায্য করে এই রস। এমনকি শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের নিঃসরণ কমাতেও সাহায্য করে।

ওজন কমাতে
আখের রস মিষ্টি হলেও এই রস ওজন কমাতে সাহায্য করে। এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। যা ওজন কমাতে সাহায্য করে। এমনকি কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমিয়ে দেয়।

ত্বকের পক্ষে উপকারি
আখের রস ত্বকের পক্ষে খুবই উপকারি। এতে আলফা হাআইড্রক্সি অ্যাসিড থাকে। যা ব্রণ, বলিরেখা দূর করে ত্বককে হাইড্রেট করতে সাহায্য করে। এমনকি না খেয়ে আখের রস রস যদি মুখে মাস্ক হিসেবে লাগিয়ে রাখা যায় তাহলে ত্বকের রুক্ষতা দূর করে ত্বককে উজ্জ্বল ও সতেজ করে তুলতে সাহায্য করে।

হজমশক্তি বাড়ায়
এতে পটাসিয়ামের পরিমাণ খুব ভালো থাকে। এমনকি ফাইবারও যথেষ্ট বেশি পরিমানে থাকে। যার জন্য আখের রস খেলে কোষ্ঠ কাঠিন্যের সমস্যা দূর করে হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। এমনকি গরমকালে ডিহাইড্রেশনের সমস্যা দেখা যায়, আখের রস ডিহাইড্রেশন দূর করতে সক্ষম। পেটের ইনিফেকশন রুখতেও দরকরি ভূমিকা পালন করে এই রস।

আরও পড়ুনঃ

ইসরায়েলে করোনায় দৈনিক মৃত্যু নেমে এসেছে শূন্যে

বিজ্ঞানীদের সতর্কবার্তার পরও পাত্তা দেয় নি ভারত

দিনরাত জ্বলছে চিতার আগুন, দিল্লিতে আবারও লকডাউন

মজার ছলে করোনা ছড়িয়ে বেড়ানোর দায়ে একজন গ্রেপ্তার!

তবে কয়েকটি বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। বাজারে আখের রস তৈরির মেশিনগুলি সচল রাখার জন্য নিয়মিত তেল দেওয়া হয়, সেটা আপনার ফলের রসে মিশে মারাত্মক বিপদ ঘটাতে পারে৷ তার চেয়ে আখের খোসাটা ছুলে বাড়ি আনুন।

সদ্য তৈরি করা আখের রস খেতে হবে। ফ্রিজে রাখলে ঘণ্টা দু’য়েক পরও খাওয়া চলে, কিন্তু তার পর একেবারেই চলবে না কারণ ফলের রসে তার মধ্যেই রাসায়নিক বিক্রিয়া শুরু হয়ে যায়।

যারা প্রতিদিন আখের রস খান, তারা দিনে দু’ গ্লাসের উপরে উঠবেন না। একমাত্র জন্ডিস রোগী ছাড়া কারো দিনে দু’ গ্লাসের বেশি আখের রসের প্রয়োজন হয় না।

news24bd.tv / নকিব