মানুষ মারার জন‍্য কতো আয়োজন, অথচ মানুষ বাঁচানোর ব্যবস্থা নেই

মানুষ মারার জন‍্য কতো আয়োজন, অথচ মানুষ বাঁচানোর ব্যবস্থা নেই

Other

আমেরিকায় প্রায় ছয় লক্ষ মানুষ মারা গেলো। একটা ভাইরাস আমেরিকার অর্থনীতিকে প্রচণ্ডভাবে আঘাত করেছে। সরকার কয়েক ট্রিলিয়ন ডলার শুধু স্টিমিউলাস দিয়েছে। অসংখ‍্য মানুষ চাকরি হারা।

অথচ, আজকে আমেরিকায় যদি, ছয়জন মানুষও সন্ত্রাসী হামলায় মারা যেতো, তাহলে সরকার বিলিয়ন ডলার খরচ করে যুদ্ধ বাধিয়ে দিতে দ্বিধা করতো না। —Don’t get me wrong! আমি বলছি না, সন্ত্রাসী হামলা কাম‍্য। কিংবা বলছি না, সন্ত্রাসী হামলা হলে চুপ করে থাকা উচিত।

আমি বলছি, একটা আঘাতকে আমরা সঠিকভাবে যাচাই না করে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নিজের ক্ষমতাকে দেখানোর জন‍্য অকারণে যুদ্ধ করি।

অথবা যুদ্ধ দীর্ঘ করি। অসংখ‍্য সাধারণ মানুষ মারি। বিশ্বরাজনীতিতে এটা খুবই কমন। শক্তির বড়াইয়ের জন‍্য অসংখ‍্য শিশু, নিরাপরাধ মানুষ মারতে কেউ দ্বিধা করে না।

ভারতে অসংখ‍্য মানুষ মারা যাচ্ছে। করোনা ভয়াবহভাবে আঘাত করেছে। বাংলাদেশ-পাকিস্তান সহ, দক্ষিণাঞ্চলের দেশগুলো হুমকিতে। অথচ এই অঞ্চলেই, শুধু সীমান্ত নিয়ে শত সহস্র কোটি টাকা খরচ করা হয়। ভারত-পাকিস্তানে কতো মানুষ খেতে পায় না। কতো মানুষের বিশুদ্ধ পানি নাই। শিক্ষার সুবিধা থেকে বঞ্চিত। অথচ, সীমান্ত নিয়ে যুদ্ধ করে রাষ্ট্রের টাকা শেষ করে দিচ্ছে।

বাতাস ভরা অক্সিজেন অথচ আজ দুনিয়াতে অক্সিজেন সিলিন্ডারের জন‍্য কী হাহাকার! যে পরিমান অস্ত্র, গোলাবারুদ, পারমাণবিক বোমা মজুদ করে রাখা হয়েছে, সেগুলো দিয় দুনিয়ার সবাইকে অক্সিজেন সিলিন্ডার যোগান দেয়া যাবে। মানুষ মারার জন‍্য কতো আয়োজন, অথচ মানুষ বাঁচানোর অক্সিজেন নাই। ভাবলেই খুব হাহাকার লাগে। এই মহামারি থেকে বুঝে নেনে, জীবাণুঅস্ত্র কতোটা ভয়াবহ হবে!


আরও পড়ুনঃ


ইসরায়েলে করোনায় দৈনিক মৃত্যু নেমে এসেছে শূন্যে

বিজ্ঞানীদের সতর্কবার্তার পরও পাত্তা দেয় নি ভারত

দিনরাত জ্বলছে চিতার আগুন, দিল্লিতে আবারও লকডাউন

মজার ছলে করোনা ছড়িয়ে বেড়ানোর দায়ে একজন গ্রেপ্তার!


সারা দুনিয়া থেকে ত্রিশ লাখ মানুষ চলে গেলো। এটা কোথায় গিয়ে ঠেকবে, কেউ জানে না। এরপর আছে অর্থনৈতিক হুমকি। প্রথম আলো বলেছে, বাংলাদেশে নতুন করে আড়াই কোটি মানুষ দরিদ্র হয়েছে। ভাবা যায়!

মানুষের পৃথিবীতে আমরা সীমা টেনে, জাতীয়তাবাদের লড়াইয়ে লিপ্ত হয়েছি খুব নোংরা ভাবে। —এতোটা হিংস্র, এতোটা নোংরা না হলেও হতো।

সময় এসেছে, গ্লোবাল হেলথ কেয়ার নিয়ে আরো সিরিয়াস হওয়ার। গ্লোবাল ইউনিটি (বৈশ্বিক একতা) দরকার। মানুষকে শিক্ষার সুযোগের জন্য আরো ব্যায় দরকার। স্বাস্থ‍্যসেবার এক্সেসিবিলিটি নিশ্চিত করা দরকার। মহামারি থেকে যদি বা বিশ্ব নেতৃত্ব কিছুটা উপলব্ধি করে।  

news24bd.tv / নকিব