ভারত থেকে আসার পর পালিয়ে যাওয়া ৭ করোনা রোগী ধরা

ভারত থেকে আসার পর পালিয়ে যাওয়া ৭ করোনা রোগী ধরা

অনলাইন ডেস্ক

ভারত থেকে এসে হাসপাতালে ভর্তির পর পালিয়ে যাওয়া সেই সাত করোনা রোগীকে পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে। যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

আটকদের যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা জানার পর পুলিশ বেনাপোল ইমিগ্রেশন থেকে সাতজনের নাম-ঠিকানা সংগ্রহ করে। এরপর স্থানীয় পুলিশের সহায়তায় তাদের ধরা হয়।

তাদের হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

প্রসঙ্গত, ১৮ এপ্রিল থেকে ২৪ এপ্রিল সময়ের মধ্যে করোনা সংক্রমিত সাতজন যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে দেশে ফেরেন। তাঁরা যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি ছিলেন। সেখান থেকে তাঁরা পালিয়ে যান।

গতকাল রোববার বিষয়টি জানাজানি হয়। ভারতে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি ভয়াবহ হওয়ায় এই পালানোর বিষয়টি আতঙ্কের সৃষ্টি করে।

যশোরের সিভিল সার্জন শেখ আবু শাহীন বলেন, ভারত থেকে আসা সাতজন করোনা পজিটিভ রোগী হাসপাতাল থেকে পালিয়ে গেছেন। তাঁদের পাসপোর্ট হাসপাতালের সিস্টারদের কাছে জমা থাকার কথা। কিন্তু সেটা ছিল না।

হাসপাতাল তত্ত্বাবধায়ক দিলীপ কুমার রায় বলেন, পালিয়ে যাওয়া সাত করোনা রোগীকে হাসপাতালে ফেরত আনা হচ্ছে। হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি থেকে তাঁরা চিকিৎসা নেবেন।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, সাতজন করোনা রোগীর মধ্যে ১৮ এপ্রিল একজন, ২৩ এপ্রিল পাঁচজন ও ২৪ এপ্রিল একজন আসেন। তাঁদের জরুরি বিভাগ থেকে হাসপাতালের তৃতীয় তলায় করোনা ওয়ার্ডে পাঠানো হয়। তাঁরা ওয়ার্ডে না গিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যান।

এই সাতজন হলেন- যশোর শহরের পশ্চিম বারান্দিপাড়া এলাকার মণিমালা দত্ত (৪৯), সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার প্রতাপপাড়া গ্রামের মিলন হোসেন (৩২), কালীগঞ্জ উপজেলার শেফালি রানী সরদার (৪০), রাজবাড়ী সদর উপজেলার রামকান্তপুর গ্রামের নাসিমা আক্তার (৫০), খুলনা সদর উপজেলার বিবেকানন্দ (৫২), পাইকগাছা উপজেলার ডামরাইল গ্রামের আমিরুল সানা (৫২) ও রূপসা উপজেলার সোহেল সরদার (১৭)।

news24bd.tv তৌহিদ

সম্পর্কিত খবর