তালের রসের ছিটেফোঁটা নেই, তবুও তালমিছরি। আছে শুধু সোডা কেমিক্যাল আর চিনি। রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে এইভাবেই বানাচ্ছে রোগীর পাথেয় এই খাদ্য পণ্যটি। একইভাবে আখ কিংবা খেজুরের রস ছাড়াই হচ্ছে গুড়।
বানানো হচ্ছে গো খাদ্য, চিনির গাদ লালীর সঙ্গে রং আর কেমিক্যাল মিশিয়ে। সাভারের বেশ কয়েকটি কারখানায় এসব গুড় তৈরি করে ছড়িয়ে দিচ্ছে রাজধানীসহ সারাদেশে। খাদ্যে আতঙ্ক ধারাবাহিক রিপোর্টের আজ থাকছে দ্বিতীয় পর্ব।
তালমিছরি।
এরপর তা নোংরা নর্দমায় ঠাসা পরিবেশে শুকালেই হলো তালমিছরি। এসব তালমিছরি প্যাকেটজাত করতে চলছে নিদারুণ কাটাকাটি। পরে তা পিওর তালমিছরি নাম দিয়ে প্রতারণা করছে ভোক্তাদের সঙ্গে।
শুধু তালমিছরিই নয় মহা জালিয়াতিতে ভেজাল করছে মানুষের জনপ্রিয় গুড়েও। সাভার নামাপাড়ার বিশাল এ কারখানাগুলোতে তৈরি হয় গুড়। যা ছড়িয়ে দেয়া হয় রাজধানী ও আশপাশের বাজারের।
আরও পড়ুন:
চট্টগ্রামে করোনায় সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড
করোনা মোকাবিলায় প্রতিষেধক উৎপাদন করবে ইরান
ভারতে ৭১ বছর পর কোন নারীর ফাঁসি!
ভেজাল গুড়ের রহস্য বেরিয়ে আসে কারখানার বাইরে এই ট্যাক লরী থেকে কালো রংয়ের এই পণ্য আনলোডের চিত্র দেখে। এই পণ্যটিই নাকি এখানকার গুড় তৈরির আসল রসদ। কর্মীদের মুখ থেকেই বেরিয়ে আসে কালো এই পণ্যটি আখ বা খেজুরের রস নয়, গরুরের খাদ্য সুগার মিলের গাদ লালী। এই লালী কালো হলেও বেশ মিষ্টি।
গুড় কারখানায় মজুদ করা এই লালীর সঙ্গে রং, ফ্লেভার আর রাসায়নিক মিশালেই হয়ে গোলো তথাকথিত স্বাদের গুড়। যা হাড়িজাত করলেই দেখতে খাটি মনে হবে।
এই গুড়ের কারখানা ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযানে গেলে আগে থেকেই টের পেয়ে তালা বন্ধ করে সটকে পড়ে ব্যবসায়ী, কর্মচারীরা।
অস্বাস্থ্যকর এসব খাদ্যপণ্যে বর্জনে ভোক্তাদের সম্মিল্লিত সচেতনতা জরুরী বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।
news24bd.tv / কামরুল