রাজশাহীতে আড়তে গিয়ে কেজিতে তরমুজ বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা দিলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট

রাজশাহীতে আড়তে গিয়ে কেজিতে তরমুজ বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা দিলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট

অনলাইন ডেস্ক

রাজশাহীতে কেজি দরে তরমুজ বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিয়েছে প্রশাসন। আগামীকাল বুধবার (২৮ এপ্রিল) থেকে এ ব্যবস্থা কার্যকর হবে।

আজ মঙ্গলবার সকালে জেলা প্রশাসনের দুজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নগরের আড়তে আড়তে গিয়ে এ ঘোষণা দেন।

আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে প্রশাসনের কর্মকর্তারা নগরের শালবাগানে তরমুজের আড়তগুলোতে যান।

তাঁদের দেখে কোনো কোনো আড়তদার আড়তের বেড়া লাগিয়ে পালিয়ে যান।

তবে তাঁরা দুটি আড়তে গিয়ে ব্যবসায়ীদের সতর্ক করেন। ‘মামা-ভাগ্নে ফল ভান্ডার’–এ গিয়ে দুই ম্যাজিস্ট্রেট সব আড়তমালিকদের ডাকেন। তারপর তাঁদের জানিয়ে দেন, তরমুজের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে নেই।

তাই আগামীকাল থেকে কেজি দরে তরমুজ বিক্রি করা যাবে না। ‘পিস’ হিসেবে বিক্রি করতে হবে। তাহলে ক্রেতারা দাম করার সুযোগ পাবেন। দামও তাহলে কমে আসবে।

এ সময় মামা-ভাগ্নে ফল ভান্ডারের মালিক শাহিন হোসেন বলেন, বরগুনা, চুয়াডাঙ্গা, খুলনা থেকে যেসব ব্যবসায়ীরা তরমুজ এই আড়তে আনেন, তাঁদেরও কেজি দরে মূল্য পরিশোধ করতে হয়। তাই এটি বাস্তবায়ন করতে কয়েক দিন সময় লাগবে।

আড়তদারেরা বলেন, কেজি দরে তরমুজ বিক্রি না করলে যে দাম কমবে, ব্যাপারটি তা নয়। বরং তাঁদের যদি কেজি দরেই বিক্রি করার সুযোগ দেওয়া হয়, তাহলে একটু সময় নিয়ে তাঁরা বাজার নিয়ন্ত্রণ করবেন।

তখন প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলেন, ‘তার মানে বাজার নিয়ন্ত্রণের সুযোগ ছিল এবং আছে। কিন্তু আপনারা (ব্যবসায়ীরা) নিয়ন্ত্রণ করেননি ইচ্ছে করেই। তাই বুধবার থেকেই পিস হিসেবে তরমুজ বিক্রি করতে হবে। ’

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অভিজিত সরকার বলেন, কোনো বিক্রেতা তরমুজ কেনার চালান দেখাতে পারেননি। চালান পেলে বোঝা যেত, তারা কত টাকা কেজি দরে তরমুজ কিনেছেন। তাহলে তার সঙ্গে একটা যুক্তসংগত মুনাফা যোগ করে দর বেঁধে দেওয়া যেত। তাদের জানামতে, এই ব্যবসায়ীরা পিস হিসেবে তরমুজ কিনে এনে কেজি দরে বিক্রি করছেন। এ জন্য তাদের পিস হিসেবে বিক্রি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

news24bd.tv তৌহিদ