ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকল্পের আর্কিটেক্ট সজিব ওয়াজেদ জয় : পলক

ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকল্পের আর্কিটেক্ট সজিব ওয়াজেদ জয় : পলক

অনলাইন ডেস্ক

প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজিব ওয়াজেদ জয় নিজে ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকল্পের আর্কিটেক্ট উল্লেখ করে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, তার নির্দেশনায় এটুআই প্রকল্প এবং আমরা সকলে মিলে এই রূপকল্প বাস্তবায়নে কাজ করেছি। ১২ বছরের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রূপকল্প-২০২১ কিভাবে ধাপে ধাপে প্রান্ত থেকে কেন্দ্র শহর থেকে গ্রাম পর্যন্ত মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়ার যায় এজন্য কাজ করেছি। গত ১২ বছর ধরে একটানা কাজ করে সফলভাবে এই কর্মকান্ড বাস্তবায়ন করা গেছে বলেই বিগত ১৩ মাসে, করোনাকালীন সময়ে সাড়ে ৪ কোটি ছাত্র-ছাত্রী স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকার পরও তাদের শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারছেন।

‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ অর্জনের সাফল্যের গল্প নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করে তা দেশের জনগণ ও বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরতে সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বানও জানান তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী।

প্রতিমন্ত্রী আজ ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে স্থানীয় সাংবাদিকদের ভূমিকা’ শীর্ষক এক ভার্চূয়াল ওয়ার্কশপ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ আহ্বান জানান।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, এটা আমার প্রত্যাশা যে, ডিজিটাল বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ার সাফল্যের গল্প, যা বিগত ১২ বছরের শ্রেষ্ট অর্জন। এগুলো নিয়ে আপনারা (সাংবাদিকরা) প্রতিবেদন তৈরি করে দেশের ১৭ কোটি মানুষ এবং বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরবেন।

তিনি বলেন, ১০ বছরের ব্যবধানে ২০২১ সালে এসে প্রায় ৭০০১টি ডিজিটাল সেন্টারে প্রায় ১৪ হাজারের বেশি উদ্যোক্তা কাজ করছে।

যেখানে ৫০ শতাংশ নারী উদ্যোক্তা কাজ করছে। এর ফলে একদিকে নারী-পুরুষের বৈষম্য, অপরদিকে ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য ও গ্রাম-শহরের বৈষম্য দূর হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর এই যুগান্তকারী সিদ্ধান্তের ফলে একদিকে প্রযুক্তির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বৈষম্য তৈরী হয়নি গ্রাম-শহরের বৈষম্য দূর হয়েছে অপরদিকে নারী এবং পুরুষকে আমাদের ডিজিটাল ইকোনমি বিনির্মাণে সমানভাবে অংশগ্রহণের সুযোগ তৈরি হয়েছে।

জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, সজীব ওয়াজেদ জয় ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণের জন্য সবচেয়ে প্রয়োজনীয় অনুষঙ্গ হিসেবে মানবসম্পদ উন্নয়নের উপর জোর দিয়েছিলেন। সেই মানবসম্পদ উন্নয়নের জন্য একেবারে ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত আইসিটি বিষয়কে বাধ্যতামূলক করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যদি এই দশ বছরে আইসিটি বিষয়টা আবশ্যিক না হতো, তবে, বাংলাদেশে সাড়ে ৬ লাখ ফ্রিল্যান্সার ও প্রায় ১৫ লক্ষাধিক তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান সৃষ্টি হতো না।

বাসসে’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ ওয়ার্কশপের সমাপনী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংস্থার ব্যবস্থাপনা সম্পাদক আনিসুর রহমান। বাসস ইনফোটেনমেন্ট ইনচার্জ মাহফুজা জেসমিনের সঞ্চালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন এটুআই প্রকল্পের পরিচালক ড. আব্দুল মান্নান। বাসসে’র প্রধান বার্তা সম্পাদক এ জেড এম সাজ্জাদ হোসেন সবুজ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন।

বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা-বাসস ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এবং তথ্য ও যোগাযোগ বিভাগের বাস্তবায়নাধীন ও ইউএনডিপি’র সহায়তায় পরিচালিত এসপায়ার টু ইনোভেট-এটুআই প্রোগ্রাম যৌথভাবে এই ওয়ার্কশপের আয়োজন করে।

বাসস’র সিটি এডিটর ও পরিচালনা বোর্ডের সদস্য মধূসুধন মন্ডল ও এটুআই’র কমিউনিকেশন অফিসার মামুনুর রহমান এ সময় উপস্থিত ছিলেন। এটুআই’র সার্ভিস স্পেশালিস্ট দৌলতুজ্জামান খান ও পলিসি স্পেশালিস্ট আফজাল হোসেন সারোয়ার, বাসস’র প্রধান বার্তা সম্পাদক (বাংলা) রুহুল গনি সরকার জ্যোতি এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ বিভাগের পরিচালক মীর আকরাম উদ্দিন আহমেদ রিসোর্সপার্সন হিসেবে কর্মশালায় অংশ নেন।

news24bd.tv/আলী