বর্তমান বিশ্বে, বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ নেয়ার মতো তরুণ সমাজ না থাকলে, কোন দেশ দৃঢ় হয়ে দাঁড়াতে পারে না। আর বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ নিতে হলে দরকার বিশ্ব মানের তরুণ। আমাদের এজুকেইশন এবং ট্রেনিং কোনটাই এখনো বিশ্বমানের হয়ে উঠে নি। পঞ্চাশ বছরে আমরা সেটা পারি নি।
এখন আগামী পঞ্চাশ বছরের লক্ষ্য নিয়ে কাজের সূচনা করতে হবে।চীনের প্রায় ত্রিশ লক্ষ তরুণ গত দশ বছরে আমেরিকায় প্রবেশ করেছে। ভারত থেকে প্রবেশ করেছে প্রায় পনের লক্ষ। সেসব দেশের শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা বিপুল সংখ্যক তরুণ তৈরি করছে, যারা সারা দুনিয়ায় নিজেকে দাঁড় করিয়ে নিচ্ছে।
দেশের এজুকেইশন ও ট্রেনিং বিশ্বমানের হয়ে উঠেনি বলে কিন্তু আমরা চুপ করে বসে থাকলে হচ্ছে না। সুতরাং বিকল্প পথ হলো, তরুণদেরকে নিজ প্রচেষ্টায় বেড়িয়ে পড়া। আমাদেরকে বাহির থেকে শিখতেই হবে। এর কোন বিকল্প নেই। একজন মানুষ তার নিজ পরিবারে খাবার পায় না বলে কি অনাহারে থাকে? সে বেড়িয়ে পড়ে। আমি বিশ্বাস করি, আগামী দুই দশকে কয়েক লক্ষ তরুণ সারা দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়বে। তারা বিশ্বমানের শিক্ষা ও দক্ষতা অর্জন করবে। সেসব তরুণদের দেশমুখী একটা স্রোত, সমাজে পরিবর্তন আনবেই। দেশের শিক্ষা ও প্রশিক্ষণে একটা বিপ্লব আনবেই। আপাতত এর বিকল্প কিছু আমাদের হাতে নেই।
আরও পড়ুন
সকল তথ্য ফাঁস করে দেব ওবায়দুল কাদেরের উদ্দেশে কাদের মির্জা
জুস খাইয়ে ক্ষেতে নিয়ে দুই পোশাক শ্রমিককে ধর্ষণ
মামুনুল ইস্যু: ফেসবুকে উস্কানিমূলক স্ট্যাটাস দেয়ায় গ্রেপ্তার ২
পথ হারানো জীবনটা আবার চলুক জীবনের গতিতে
পৃথিবীতে বেড়িয়ে পড়ার জন্য দরকার কমিউনিকেশন। সুতরাং ভাষা শেখো। ইংরেজি, চাইনিজ, কোরিয়ান, জার্মান, এরাবিক - যেটাই প্রয়োজন। প্রত্যেকটা কাজে একটা স্কিল সেট থাকে। সেটা খুব ভালোভাবে অর্জনের চেষ্টা করতে হবে। সেই স্কিল সেট অর্জন করলে, সেটাকে ধীরে ধীরে কাজের মাধ্যমে শাণিত করা যায়। যেমন, একটা ভিডিও এডিটিং করতেও একটা স্কিল সেট লাগে। যে যতো ভালোভাবে স্কিল সেট ডিভেলপ করতে পারে, সে ততো দ্রুত এবং ইন্টারেক্টিভ একটা ভিডিও তৈরি করতে পারবে। যে কোন কাজের স্কিল সেটের উপর নির্ভর করে সেই কাজের প্রোডাক্টিভিটি। দিন শেষে, যে যতো প্রোডাক্টিভ, তার মূল্য ততোই বেশি। যে কোন কিছুর প্রধান ড্রাইভিং ফোর্স হলো প্রোডাক্টিভিটি!
চোখ খোলা রাখো। লুক এরাউন্ড! মানুষ যখন চোখ খোলা রাখে, তার হাতে সুযোগ ধরা দেয় বেশি। চোখ খোলা রাখলে কালের ট্রেন্ড বুঝা যায়। তোমার এক বন্ধু তোমার পাশে থেকেই চলে যাচ্ছে ইউরোপের কোন সেরা স্কুলে। কিংবা কোরিয়ার কোন ট্রেইনিং ইনস্টিটিউটে। এবং এটা এমনি এমনি হয়নি। সে তার চোখ খোলা রেখেছিলো। ধৈর্য নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করেছে। সময় দিয়েছে ঘন্টার পর ঘন্টা। সারা দুনিয়ায় প্রচুর সুযোগ আছে, সেগুলোকে লুফে নেয়ার মতো চোখ থাকতে হবে। সময় দিতে হবে। মাটির দিকে তাকিয়ে চাঁদ দেখা যায় না। সুতরাং ফোকস খুবই ইম্পরটেন্ট।
মানুষ কি বলে, সেটা উপেক্ষা করা শিখতে হবে। দ্বন্দ্ব নয়, উপেক্ষা! মানুষকে পাত্তা দিলে নিজের জীবনকে গড়তে হবে না। মানুষের কথা নিয়েই থাকতে হবে। মানুষের পথেই হাঁটতে হবে। নিজের পথ আর তৈরি করা হবে না কখনো। কেউ বলবে, হবে না! কেউ বলবে, কি হবে এসব! কেউ বলবে, কি দরকার এতো প্যারা! কেউ বলবে, ভালোই আছি বেশ! কেউ বলবে, বাদ দে! এইসব ঝেড়ে হাঁটলেই হবে স্বীয়পথ!
news24bd.tv আহমেদ