মাস্ক না পরায়..

মাস্ক না পরায়..

অনলাইন ডেস্ক

চলমান সর্বাত্মক লকডাউনে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করায় ৩০ যুবককে রোদে বসিয়ে রেখে শাস্তি দিয়েছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রচণ্ড রোদে আলমডাঙ্গা থানা চত্বরে তাদের বসিয়ে রেখে শাস্তি দেয়া হয়। অযথা ঘোরাঘুরি করার সময় আটক করা হয় তাদের।

চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃতে এ অভিযান পরিচালিত হয়।

এ অভিযান পরিচালনাকালে উপস্থিত ছিলেন- পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মাসুদুর রহমান ও পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) দেবব্রত।

পুলিশ জানায়, করোনার সংক্রমণ রোধে গৃহীত লকডাউনে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে ব্যতিক্রমী এ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ।

লকডাউন ও মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করতে পুলিশ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। মুখে মাস্ক না পরে সড়কে ঘোরাঘুরির সময় তাদের আটক করা হয়।

মাস্ক ছাড়া বের হওয়া ব্যক্তিদের আটক করে পিকআপ ভ্যানে উঠিয়ে থানায় নেয়া হয়। পরে শাস্তিস্বরূপ থানার সামনে প্রখর রোদে ২০-৩০ মিনিট করে রোদে বসিয়ে রাখে পুলিশ।

এ ব্যাপারে চুয়াডাঙ্গা জজকোর্টের সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট মানি খন্দকার বলেন, পুলিশ এভাবে কাউকে শাস্তি দিতে পারে না। তাছাড়া এটা অমানবিক ও মানবাধিকার লঙ্ঘন।

এদিকে এই কঠিন দাবদাহে এভাবে একটানা ২০-৩০ মিনিট কড়া রোদে বসিয়ে রাখলে বা দাঁড় করিয়ে রাখলে হিটস্ট্রোক, মাথা ব্যথা, চর্মরোগসহ বিভিন্ন শারীরিক জটিলতা তৈরি হতে পারে বলে মনে করেন চুয়াডাঙ্গার সিভিল সার্জন ডা. এএসএম মারুফ হাসান।

জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার বলেন, রোদে দাঁড় করিয়ে বা বসিয়ে রাখা এটা আইনসিদ্ধ নয়।

আইনে বিধান না থাকলেও কেন এই শাস্তি- এ বিষয়ে আলমডাঙ্গা থানার ওসি আলমগীর কবীর বলেন, পুলিশ সুপারের নির্দেশে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে একটু কঠোর হতে হচ্ছে। যারা মাস্কবিহীন রাস্তায় চলাচল করছেন তাদের শাস্তির আওতায় আনা হচ্ছে। পরে সচেতনতামূলক নির্দেশনা দিয়ে ও মাস্ক দিয়ে তাদের ছেড়ে দেয়া হচ্ছে। এটা একটা কৌশল মাত্র। এটা কোনো আইনের আওতায় পড়ে না।

news24bd.tv/আলী

এই রকম আরও টপিক