রমজানে খাম্বার সঙ্গে বেঁধে মারধরের পরে কেটে দেয় চুল

রমজানে খাম্বার সঙ্গে বেঁধে মারধরের পরে কেটে দেয় চুল

অনলাইন ডেস্ক

মধুর ব্যবসা করেন আল-আমিন (২৪) ও তার ছোট ভাই আলাল সরদার (১৮)। এই দুই ভাই মধু সংগ্রহ করে তা বিক্রি করেন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে। এই ব্যবসায় তাদের সুনামও আছে। কিন্তু হঠাৎ করেই একটি প্রতিষ্ঠান দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে ভেজাল মধু সরবরাহের অভিযোগ তুলে তাদের মারধর করে বৈদ্যুতিক খাম্বার সঙ্গে বেঁধেমাথার চুল কেটে দিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির মালিক।

শুক্রবার দুপুরে মধুর জন্য এই নির্যাতন ও অমানবিক আচরণের ঘটনাটি ঘটেছে পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের আওতাপাড়া গ্রামে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীদের বাবা ঈশ্বরদী থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।

মধু বিক্রেতা এই দুই ভাই হলেন উপজেলার দাশুড়িয়া ইউনিয়নের দাঁদপুর গ্রামের আল-আমিন (২৪) ও তাঁর ছোট ভাই আলাল সরদার (১৮)। তারা গ্রামের আলম সরদারের ছেলে।

অভিযোগ উঠেছে, প্রতিষ্ঠানের মালিক জিসান হোসেনের নির্দেশেই সকাল থেকে বেলা দুইটা পর্যন্ত দুই ভাইকে তীব্র রোদের মধ্যে খাম্বার সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়। এরপর বেলা দুইটার দিকে জিসান হোসেন সেখানে উপস্থিত হয়ে দুই ভাইকে মারপিট করে মাথার কিছু চুলও কেটে দেন। পরে বিষয়টি জানতে পেরে গ্রামের লোকজন এসে দুই ভাইকে সেখান থেকে মুক্ত করেন।

অভিযোগ অস্বীকার করে জিসান হোসেন বলেন, চুক্তি ছিল তারা খাঁটি মধু সরবরাহ করবেন। কিন্তু চুক্তির শর্ত ভেঙে সম্প্রতি দুই ভাই ৩০০ কেজি ভেজাল মধু সরবরাহ করেছেন। গ্রাহকেরা এই মধু নিয়ে অভিযোগ দিয়েছেন। এর মধ্যে ১২০ কেজি মধু এখনো অবিক্রীত রয়েছে। ফলে এলাকার লোকজনই তাঁদের আটকে রেখে মধুর ক্ষতিপূরণ চেয়েছেন। ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা বলে দুই ভাই চলে গেছেন। কাউকে মারপিট করা হয়নি।

এ প্রসঙ্গে জানতে যোগাযোগ করা হলে ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান  বলেন, খবর পেয়ে ওই গ্রামে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা মিলেছে। ঘটনায় দুই সহোদরের বাবা থানায় মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন। মামলাটি দায়ের হলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  

news24bd.tv/আলী