করোনার সংক্রমণ রোধে চলমান লকডাউন শেষ হলেই এই প্রাণঘাতী ভাইরাসের সংক্রমণ সহসাই কমছে না। প্রতিদিনই বাড়ছে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা। লকডাউনের শুরুর দিকে গত ৫ এপ্রিল থেকে প্রথম এক সপ্তাহ একরকম ঢিলেঢালাভাবে তা চলে। পরে ১৪ এপ্রিল থেকে ‘সর্বাত্মক লকডাউনের’ ঘোষণা দেওয়া হয়।
এ সময় আরোপ করা হয় কঠোর বিধিনিষেধ। সর্বশেষ ঘোষণা অনুযায়ী এই লকডাউন চলবে আগামী ৫ মে পর্যন্ত। এদিকে লকডাউনের ৭০ শতাংশ সুফল পাচ্ছে বাংলাদেশ।কিন্তু ঈদের পুর্ব মুহুর্তে যদি গণপরিবহন খুলে দেওয়া হয় তবে করোনা আক্রান্তের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়তে পারে সে বিষয়ে সন্দেহ নেই বিশেষজ্ঞদের ।
সারা দেশে গত ১৪ এপ্রিল প্রথম কঠোর লকডাউন ঘোষণা করে সরকার। ধাপে ধাপে লকডাউন ৫ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়। সরকার তিন দফায় লকডাউন বাড়ানোর কারণে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে তিন সপ্তাহে সর্বনিম্ন ৫৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরআগে মৃত্যুর সংখ্যা দৈনিক একশো’র ঘুরে ছুঁয়েছিল। এ পর্যন্ত করোনায় দেশে মোট মৃত্যু হয়েছে ১১ হাজার ৪৫০ জনের। মৃত্যুর সংখ্যা কমে যাওয়ার পাশাপাশি সংক্রমণের হার কমছে।
রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউট, আইইডিসিআর-এর উপদেষ্টা ড. মুশতাক হোসেন বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ শূন্যের কোঠায় নিয়ে এসে ধীরে ধীরে অফিস, আদালত, গণপরিবহন খুলে দেওয়া যেতো। কিন্তু আমাদের দেশে এটি সম্ভব হচ্ছে না। গণপরিবহন বন্ধ রেখে জরুরি প্রয়োজনে সরকারি-বেসরকারি অনেক পরিবহন রয়েছে সেগুলো ব্যবহার করা যেতে পারে। কারণ গণপরিবহনে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঝুঁকি রয়েছে। এছাড়া পরিবহনের অধিকাংশ শ্রমিক তরুণ। এসব শ্রমিক নিজেরা সংক্রমিত হয়ে পরিবারের বয়স্কদের সংক্রমিত করবে। গণপরিবহন শুধু শ্রমিকদের বিষয় নয়, এখানে যাত্রীরাও আছেন।
এদিকে দেশে শুক্রবার ৫৭ জনের মৃত্যু হয়েছে করোনাভাইরাসে। এ নিয়ে দেশে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১১ হাজার ৪৫০ জনে। একইসময়ে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ২১৭৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা সাত লাখ ৫৯ হাজার ১৩২ জনে দাঁড়াল।
শুক্রবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে আরও বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৪ হাজার ৩২৫ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৬ লাখ ৮২ হাজার ৪২৬ জন।
news24bd.tv/আলী