মে দিবসের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে উৎপাদন বাড়াতে হবে: রাষ্ট্রপতি

মে দিবসের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে উৎপাদন বাড়াতে হবে: রাষ্ট্রপতি

অনলাইন ডেস্ক

শ্রমজীবী মানুষের স্বার্থ সংরক্ষণ ও সার্বিক জীবনমান উন্নয়নে সমন্বিত উদ্যোগ অত্যন্ত জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। মহান মে দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ মন্তব্য করেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, মে দিবসের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে পারস্পরিক সুসম্পর্ক বজায় রেখে শ্রমিক ও মালিকের উৎপাদন বাড়াতে নিবেদিত হতে হবে।  

তিনি বলেন, শ্রমিক-মালিক পারস্পরিক সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক শ্রমক্ষেত্রে স্থিতিশীলতা রক্ষা ও উৎপাদনশীলতা বাড়াতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

শ্রমজীবী মানুষের স্বার্থসংরক্ষণ ও অধিকার প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে দেশের শিল্প-বাণিজ্যে অগ্রগতি সাধিত হবে, দেশ এগিয়ে যাবে সমৃদ্ধির দিকে- মহান মে দিবসে এ প্রত্যাশা করছি।  

রাষ্ট্রপতি বলেন, মে দিবস উপলক্ষে আমি বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল শ্রমজীবী মানুষকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। এবারের মে দিবসের প্রতিপাদ্য 'শ্রমিক-মালিক নির্বিশেষ মুজিববর্ষে গড়ব দেশ' অত্যন্ত যথার্থ হয়েছে বলে আমি মনে করি।

তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজীবন মেহনতি মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য সংগ্রাম করেছেন।

তিনি ছিলেন শ্রমজীবী মানুষের অকৃত্রিম বন্ধু। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে জাতির পিতার উদ্যোগ ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার সদস্যপদ লাভ করে এবং আইএলওর ৬টি কোর কনভেনশনসহ ২৯টি কনভেনশন অনুসমর্থন করে। এটি শ্রমজীবী মানুষের জীবনমান উন্নয়ন ও তাদের অধিকার রক্ষায় এক অনন্য মাইলফলক।

মো. আবদুল হামিদ বলেন, ১৯৭৩ সালে আলজিয়ার্সে অনুষ্ঠিত জোটনিরপেক্ষ শীর্ষ সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, 'বিশ্ব আজ দুই ভাগে বিভক্ত, একদিকে শোষক আর অন্যদিকে শোষিত- আমি শোষিতের পক্ষে'। তিনি রাজনৈতিক স্বাধীনতার পাশাপাশি অর্থনৈতিক মুক্তির স্বপ্ন দেখেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর সেই স্বপ্নপূরণে শ্রমজীবী মানুষের কল্যাণে সকলকে দল-মত নির্বিশেষে একাত্ম হতে হবে। এই অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনে শ্রমিক-মালিক সম্প্রীতি দেশের উন্নয়নের পথকে ত্বরান্বিত করবে বলে আমার বিশ্বাস।  


নিষেধাজ্ঞা শেষে ইলিশ শিকারে নেমেছেন জেলেরা

আফগানিস্তানে বোমা হামলায় নিহত ৩০

খুলনায় সড়ক দুর্ঘটনায় পুলিশ কনস্টেবল নিহত

মহানবী যে সাতটি কাজ ছেড়ে দিতে আদেশ দিয়েছেন


তিনি বলেন, কোভিড-১৯ সংক্রমণ জনিত মহামারিতে বিশ্ব আজ বিপর্যস্ত। বাংলাদেশেও করোনাভাইরাস সংক্রমণের ভয়াল থাবা আঘাত হেনেছে। ফলে গভীর সংকটে পড়েছে শিল্পপ্রতিষ্ঠানসহ দেশের শ্রমজীবী মেহনতি মানুষ। এই পরিস্থিতিতে সরকার জনগণের পাশে থেকে ত্রাণকাজ পরিচালনাসহ সর্বাত্মক কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখতে সরকার বিশেষ প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। তাই করোনার মধ্যেও বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আমি সরকারের পাশাপাশি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের মালিকগণকেও শ্রমজীবী মানুষের সহায়তায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।

news24bd.tv নাজিম

এই রকম আরও টপিক