বরের বয়স ৪৩ আর কনের বয়স ১৩, অতঃপর যা ঘটল...

বরের বয়স ৪৩ আর কনের বয়স ১৩, অতঃপর যা ঘটল...

নিজস্ব প্রতিবেদক

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া প্রসাশনের হস্তক্ষেপে বাল্য বিয়ের হাত থেকে রক্ষা পেল অষ্টম শ্রেণির এক মাদরাসাছাত্রী (১৩)। মেয়েটি স্থানীয় গুলিসাখী আলিফ সিনিয়র মাদরাসার শিক্ষার্থী। বুধবার দিনগত রাতে মেয়েটির অমতে দুই পরিবার তার বাল্য বিয়ের আয়োজন করেছিল।

অভিযোগ পেয়ে গুলিসাখালী ইউনিয়নের বান্ধব পাড়া গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসীর বাড়িতে উপস্থিত হয়ে উপজেল মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মনিকা আক্তার সাংবাদিক ও পুলিশ নিয়ে এ বাল্য বিয়ে পণ্ড করে দেন।

প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার মিরুখালী হারজী গ্রামের ওমান প্রবাসী ইউছুব সরদারের (৪৩) সঙ্গে অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ের বিয়ের আয়োজন চলছিল। বিষয়টি স্থানীয় লোকজন সাংবাদিক ইসরাত জাহান মমতাজকে অবহিত করলে তিনি ইউএনওকে তাৎক্ষণিক জানান। পরে বুধবার রাতেই মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মনিকা আক্তার পুলিশ ও স্থানীয় সাংবাদিক ইসরাত জাহান মমতাজ, রফিকুজ্জামান আবীর, মাসুদ গাজী পুলিশ নিয়ে বিয়ে বাড়িতে উপস্থিত হন। এ সময় তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে বরযাত্রী, কনের মা ও অন্যান্য স্বজনরা পালিয়ে যান।

আরও পড়ুন


নির্জনতা কখনো আমাদের শূন্য হাতে ফেরায় না

কৃষকদের সহায়তা করতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর প্রতি আহ্বান মাউশির

ঈদের আগে সব কিছু খুলে দেয়া হলে আমাদেরও মাশুল গুনতে হবে

ভারতে হাসপাতালে আগুন, ১২ করোনা রোগীর মৃত্যু


এই ঘটনার পর স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য লিটন মালের উপস্থিতিতে মেয়েটির মা খাদিজা খাতুনকে ডেকে আনা হয়। পরে ১৮ বছর আগে মাদরাসাছাত্রীকে বিয়ে না দেবার শর্তে লিখিত দিয়ে ছাড়া পান কনের মা।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঊর্মি ভৌমিক জানান, সংবাদ পেয়ে বিয়ে বন্ধের জন্য মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়ে তাৎক্ষণিক বাল্য বিয়ের বন্ধ করা হয়। বাল্য বিবাহে প্রতিরোধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।

news24bd.tv আহমেদ