আলুটিলার বিরল প্রকৃতিক সুড়ঙ্গ দেবগুহা

আলুটিলার বিরল প্রকৃতিক সুড়ঙ্গ দেবগুহা

Other

আলুটিলা রহস্যময় সুড়ঙ্গ খাগড়াছড়ি জেলার প্রধান পর্যটন আকর্ষণ। গা ছমছম অনুভূতি, শিহরণ,  ভয়, সৌন্দর্য্, আলো-আঁধারি আর ঝর্নার সুরে ছান্দিক ব্যাকুলতায় পূর্ণ নিরাপত্তার সাথে উপভোগ্য এ সুড়ঙ্গের বিকল্প নেই। বলা হয়, শুধু বাংলাদেশ নয়, পৃথিরীর অন্য কোন দেশেও এ রকম প্রাকৃতিক সুড়ঙ্গ পথের খুব একটা নজির নেই।

খাগড়fছড়ি শহর থেকে ৮কিমি পশ্চিমে আলুটিলা পাহাড় চূড়ায় আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্র অবস্থিত।

আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্রের মধ্যেই আলুটিলা রহস্যময় সুড়ঙ্গের অবস্থান। স্থানীয় উপজাতীয় ভাষায় সুড়ঙ্গটি ‘মাতাই হাকর’ নামে পরিচিত। মাতাই শব্দের অর্থ দেবতা এবং হাকর শব্দের অর্থ গুহা। সুতরাং মাতাই হাকর শব্দের অর্থ দেবগুহা বা দেবতার গুহা।

পাহাড়ের চূড়া থেকে অনেক নিচে সুড়ঙ্গটির অবস্থান। এক সময় সুড়ঙ্গে প্রবেশ ছিল অত্যন্ত কষ্টসাধ্য। এখন অনেক সহজে যাওয়া যায়। পাহাড়ের চূড়া থেকে ২৬৬টি সিঁড়ির নীচে আলুটিলা পাহাড়ের পাদদেশে পাথর আর শিলামাটির ভাঁজে রহস্যময় সুড়ঙ্গটি রহস্যের বিনোদ কাহিনী হয়ে বহুদিন থেকে বহুভাবে মানুষের মনে রোমাঞ্চ, আনন্দ আর অনুভুতির শিহরণ দিয়ে আসছে।

news24bd.tv

গুহামুখের ব্যাস প্রায় ১৮ফুট এবং দৈর্ঘ্য প্রায় ২৮০ ফুট। প্রবেশমুখ ও শেষের অংশ আলো-আঁধারিতে সবসময় আচ্ছন্ন থাকে। তবে মাঝখানে নিকষ কালো অন্ধকার। গুহার তলদেশ দিয়ে প্রবাহিত শীতল জলের ঝর্নাধারা রহস্যের মাঝেও যেনো প্রশান্তির পেলব পরশ বুলিয়ে দেয়। গা ছমছম করা অনুভূতি নিয়ে এ গুহায় প্রবেশ করাটা একদিকে যেমন ভয়সংকুল তেমনি রোমাঞ্চকরও বটে।

আলুটিলা পাহাড়ের এ সুড়ঙ্গ একাকী ভ্রমণ করতে অনেকেই ভয় পান। ভয়ের কারণ শুধু অন্ধকার নয়, সুড়ঙ্গে বিশ্রামরত শত শত কলাবাদুরের ডাক আর ঝাপটানি এক ভীতকর রোমাঞ্চ সৃষ্টি করে। রাতে বা দিনে অবশ্যই টর্চ, মশাল কিংবা হ্যাজাক লাইট জ্বালিয়ে ঢুকতে হয় এই সুড়ঙ্গে। মশাল স্থানীয়ভাবে কিনতে পাওয়া যায়। সুড়ঙ্গ দেখতে হলে দলে ভিড়ে দেখা ভালো।


আরও পড়ুনঃ


ফেলে রাখা ট্রাকে মিললো ২ লাখ ৪০ হাজার টিকা

শপিংয়ে না যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে পরদিন কিনলেন নতুন গাড়ি

ভারত থেকে অস্ট্রেলিয়া প্রবেশ সাময়িকভাবে অবৈধ, জেল-জরিমানার বিধান

উত্তর কোরিয়ায় সস্তায় চিকিৎসা সরঞ্জাম ক্রয়: কর্মকর্তার মৃত্যুদণ্ডসহ তিন প্রজন্মের শাস্তি


পনের টাকার বিনিময়ে মশাল পর্যটন কেন্দ্রে কিনতে পাওয়া যায়। গুহার একদিকে ঢুকে অন্যদিকে গিয়ে বেরোতে সময় ১৫ থেকে ২০ মিনিট সময় লাগে। এটি উপমহাদেশের একমাত্র প্রাকৃতিক সুড়ঙ্গ। পর্যটন কেন্দ্রটি খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে অবস্থিত হওয়ায় বাস বা ট্যাক্সিতে যাতায়াত করা যায়।

news24bd.tv / নকিব