তবে আমি বলব মিডিয়া বা গনমাধ্যম নয় বরং ফেসবুক বা সামাজিক মাধ্যমই এখন এই দোষে দুষ্ট। এর কাঠামোই এমন যে এটি মূলত এক পক্ষীয় মতই ছড়িয়ে দেয়। যার পরিণতি দেশে দেশে ভয়াবহ হয়েছে -এখানেও হচ্ছে।
ভেঙ্গে বললে, আমি আপনি যা যতটুকু দেখি তাই বিশ্বাস করি।
এখন আমাদের সবারই দেখার ক্ষমতা এক নয়, পুরোটা দেখা সম্ভবও নয়। ব্যাপারটা গল্পের অন্ধের হাতী দেখার মতো। যে কান দেখে-হাতী তার কাছে কানের মতই সরু কিংবা পাতলা।জ্ঞান চক্ষুর এই বাঁধা দুর করতেই সবাই মিলে আমরা যা দেখলাম, বা সব পক্ষ যা দেখল তা এক জায়গায় করে মানুষকে নতুন নতুন তথ্য দেয়ার নামই সাংবাদিকতা।
কিন্তু একটু খেয়াল করলে দেখব -সোশ্যাল মিডিয়াতে আমরা প্রত্যেকে যা বলছি তার বেশীরভাগই আসলে যার যার নিজের "মত"। এই মিডিয়ার কাঠামোটাই একজন ব্যক্তির নিজস্ব মত তুলে ধরার। তার বিরুদ্ধ মত নিচে দেয়া যায়-কিন্তু তা এক পর্যায়ে আর ধোপে টেকে না, বিরুদ্ধ মত সমান জায়গাও পায় না।
আরও পড়ুন
পদ্মা সেতুর পুরো স্ট্রাকচারের কাজ শেষ হয়েছে: ওবায়দুল কাদের
মামুনুল হকের ২৪ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ
লঙ্কানদের দেয়া ৪৩৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে টাইগাররা
নওগাঁয় ইথেন এন্টারপ্রাইজের উদ্যোগে সেলাই মেশিন বিতরণ
আবার এই নিজের মত যদি ধর্মীয় বা পপুলারিস্ট কোন মত হয় -তার নিচে লাইক এর বন্যা বয়ে যায় -হোক তা সঠিক কিংবা বেঠিক।
অর্থাত, লাইক এর সংখ্যার বিচারে সত্য হয়ে যেতে পারে মিথ্যা, মিথ্যা হতে পারে সত্য। এক পক্ষের অর্ধসত্য ছড়িয়েই যেতে থাকে ....
যে কোন সমাজের জন্য এরচে খারাপ কিছু হয় না।
লেখক: শাকিল আহমেদ, হেড অব নিউজ, একাত্তর টিভি (ফেসবুক থেকে)
news24bd.tv / কামরুল