দুই-একদিনের মধ্যে গণপরিবহন চালুর ঘোষণা মালিক গ্রুপের

দুই-একদিনের মধ্যে গণপরিবহন চালুর ঘোষণা মালিক গ্রুপের

অনলাইন ডেস্ক

কোথাও স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই, চলমান লকডাউনে সবকিছু খোলা থাকলেও শুধু গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে উল্লেখ করে

‘চট্টগ্রাম সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপ’ জানিয়েছে, ‘সরকার অনুমতি না দিলে মালিক-শ্রমিকরা দুই-একদিনের মধ্যে ‘স্বাস্থ্যবিধি মেনে’ গণপরিবহন চালাতে বাধ্য হবেন।

রাববার দুপুরে নগরীর বিআরটিসি মার্কেটে আন্তঃজিলা বাস মালিক সমিতির কনফারেন্স হলে এক সংবাদ সম্মেলন হয়।

সংগঠনের মহাসচিব মঞ্জুরুল আলম মঞ্জু এ ঘোষণা দেন এবং পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরেন।

মঞ্জু বলেন, ‘করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে সরকার লকডাউন ঘোষণা করেছে।

আমরা এর বিরোধী নই। কিন্তু এমন এক লকডাউন, এই লকডাউনে সবকিছু খোলা থাকলেও শুধু গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে। সব কারখানায় হাজার হাজার শ্রমিক কাজ করছে। বাজার-শপিংমল খুলে দেওয়া হয়েছে।
কোথাও স্বাস্থ্যবিধির কোনো বালাই নেই। ’

মঞ্জু আরও বলেন, ‘বর্তমান সময়ে সারাদেশের পরিবহন ব্যবস্থা মহাসংকটে এবং ধ্বংসের মুখে পড়েছে। লকডাউন কিংবা গণপরিবহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও পরিবহনের প্রাতিষ্ঠানিক খরচ বন্ধ থাকে না। বিভিন্ন পরিবহন সার্ভিসের প্রধান ও শাখা কার্যালয়ের ভাড়া, কর্মচারিদের বেতন ইত্যাদি মালিকের কাঁধের ওপর চড়ে বসে। এই খাত সরকার বছরে হাজার কোটি টাকা অগ্রিম ট্যাক্স নেওয়ার পরও এ খাতে কোনো ধরনের ভুর্তকি কিংবা সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে না।

সংবাদ সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরেন। দাবির মধ্যে আছে- বিনা সুদে পরিবহন মালিকদের ঋণ দেওয়া, করোনাকালীন একবছর সময়ে ব্যংক ঋণ ও কিস্তির সুদ মওকুফ, কিস্তির টাকা আদায়ে হয়রানি ও মামলা দেওয়া বন্ধ, করোনা মহামারির সময় শেষ হওয়া পর্যন্ত গাড়ির কাগজপত্র হালনাগাদের সময় বাড়ানো ও পরিবহন শ্রমিকদের আর্থিক সহযোগিতা দেওয়া।

সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সভাপতি খোরশেদ আলম, কার্যকরী সভাপতি মুহাম্মদ সৈয়দ হোসেন, অতিরিক্ত মহাসচিব আহসান উল্লাহ চৌধুরীসহ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

সম্পর্কিত খবর