খুশকি একবার মাথার ত্বকে আক্রমণ শুরু করলে, তা বাড়তেই থাকে। এক্ষেত্রে চুলকানি ও চিটচিটে হয় স্ক্যাল্পে। খুশকি দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জানানো হল।
অ্যাপল সাইডার ভিনিগার
খুশকির সমস্যা দূর করতে অ্যাপল সাইডার ভিনিগার খুব ভালো কাজ করে।
ব্যবহার পদ্ধতি: সম-পরিমাণ ভিনিগার ও পানি এক সঙ্গে মিশিয়ে মাথার ত্বকে মালিশ করুন। ১৫ মিনিট অপেক্ষা করেতা ধুয়ে ফেলুন।
পরামর্শ: ভালো ফলাফল পেতে সপ্তাহে দুবারের বেশি এটা ব্যবহার করা যাবে না।
নারিকেল তেলের সঙ্গে লেবু
নারিকেল তেল ও লেবু একসঙ্গে খুশকির বিরুদ্ধে ভালো কাজ করে।
ব্যবহার পদ্ধতি: দুই টেবিল-চামচ নারিকেল তেল ও সম-পরিমাণ লেবুর রস এক সঙ্গে মিশিয়ে মাথার ত্বকে মালিশ করুন। এরপর শ্যাম্পু দিয়ে চুল পরিষ্কার করে নিন।
পরামর্শ: যাদের মাথার ত্বক সংবেদনশীল তাদের লেবু ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে। কেন-না এতে মাথার ত্বকে জ্বলুনি সৃষ্টি হতে পারে।
টক দই
দইয়ের মাস্ক চুলের নানান সমস্যার সমাধানে সহায়তা করে। চুলের যত্নে এটা সহজ ঘরোয়া সমাধান।
ব্যবহার পদ্ধতি: একটা বাটিতে টক দই নিয়ে তা চুলে ব্যবহার করুন। মাস্কটি শুকানোর জন্য এক ঘণ্টা অপেক্ষা করে শ্যাম্পু করে ফেলুন।
পরামর্শ: খুশকির সমস্যা দূর করতে সপ্তাহে তিনবার ব্যবহার করা ভালো।
গ্রিন টি
গ্রিন টি ব্যাক্টেরিয়া-রোধী উপাদান সমৃদ্ধ এবং এটা মাথার ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়তা করে। তাই খুশকি কমাতে গ্রিন টি ব্যবহার করতে পারেন।
ব্যবহার পদ্ধতি: এক কাপ গরম পানিতে দুইটা টি ব্যাগ ২০ মিনিট ধরে ডুবিয়ে রাখুন। ঠাণ্ডা হয়ে আসলে তা মাথার ত্বকে ব্যবহার করে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে তা চুল ধুয়ে নিন।
পরামর্শ: খুশকি থেকে বাচঁতে গোসলের পরে এটা ব্যবহার করুন।
জলপাই তেল
খুশকির সমস্যা দূর করতে জলপাই তেল বা অলিভ অয়েলের ব্যবহার নানা দেশে খুবই জনপ্রিয়। নিয়মিত জলপাই তেল ব্যবহারে খুশকি কমে। কারণ জলপাই তেল প্রাকৃতিকভাবেই ভালো ময়েশ্চারাইজার এবং ক্লিনজার হিসেবে কাজ করে বা ত্বকের আর্দ্রতা ও পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করে।
কর্পূর ও নারকেল তেল
নারকেল তেল ও কর্পূরের তেল নানা ভেষজ গুণে সমৃদ্ধ। আধা কাপ নারকেল তেলের মধ্যে এক চা-চামচ কর্পূরের তেল নিয়ে একটা বোতল বা পাত্রে রাখুন। খেয়াল রাখতে হবে যাতে বোতলের মুখ ভালো করে লাগানো থাকে বা পাত্রটির ঢাকনা ঠিকঠাক আটকানো থাকে, যাতে ভেতরে বাতাস না ঢোকে। শুষ্ক স্থানে এভাবে রাখা পাত্র থেকে কিছুটা তেল নিয়ে প্রতিরাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে মাথায় দিন। মিনিট দশেক ধরে ঘষে ঘষে চুলের গোড়ায় মাখুন। সকালে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে টানা দুই সপ্তাহ ব্যবহার করে উপকার পেলে ধীরে ধীরে এটা একদিন পর পর মাখুন বা আরও কমিয়ে দিন।
বেকিং সোডা
হালকা পানিতে মাথা ভিজিয়ে নিয়ে খানিকটা বেকিং সোডা পুরো মাথায় মেখে নিন। ভালো করে ঘষে ঘষে শ্যাম্পু না করে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটা মাথার খুলিতে থাকা ছত্রাক দমন করে প্রথমদিকে ত্বককে অতিরিক্ত শুষ্ক করে ফেলতে পারে। কিন্তু অল্পদিনেই ত্বকে স্বাভাবিক তৈলাক্ত অবস্থা ফিরে আসবে। কিন্তু এ সময়ে আপনি খুশকি থেকে মুক্তি পাবেন।
লেবুর রস
দুই টেবিল-চামচ লেবুর রস নিয়ে পুরো মাথায় চুলের গোড়ায় ঘষে ঘষে মাখুন। পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এবার এক টেবিল-চামচ লেবুর রস নিয়ে এক কাপ পানিতে মেশান। লেবুর রস মেশানো পানি দিয়ে মাথা ধুয়ে ফেলুন। খুশকি না কমা পর্যন্ত প্রতিদিন এভাবে লেবু চিকিৎসা চালিয়ে দেখতে পারেন।
বাংলাবাজার ঘাটে স্পিডবোট ডুবির ঘটনায় ৬ সদস্যের তদন্ত কমিটি
মুখ্যমন্ত্রী হতে যেসব নিয়মের মধ্য দিয়ে যেতে হবে মমতাকে
মেথি-তেল
সাধারণ নারকেল তেলের সঙ্গে মেথি মিশিয়ে কয়েকদিন বোতলে রেখে দিন। নিয়মিত এই মেথি মেশানো তেল মাখুন মাথায়। রাতে মেখে সকালে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে নিয়মিত ব্যবহারে মাথার চুল ও ত্বক দুইই ভালো থাকবে। খুশকি থেকেও রেহাই পাবেন।
লবণ
প্রতিদিনই কাজে লাগা লবণের অনেক ব্যবহারই হয়তো আমরা জানি না। মাথায় হালকা করে লবণ ব্যবহার করে দেখুন। প্রাকৃতিক পরিষ্কারক হিসেবে লবণ খুশকি দূর করতে দারুণ কাজ করবে। হালকা করে লবণ ব্যবহার করে তারপর শ্যাম্পু করলে শ্যাম্পুর পুরো সুবিধা আপনি কাজে লাগাতে পারবেন। এ ছাড়া চুলকাতে থাকা খুশকি ভরা মাথায় লবণ-চিকিৎসা দারুণ প্রশান্তিও দেবে আপনাকে।
news24bd.tv নাজিম