জাদুর পাহাড় আয়ারস রক: রঙ বদলের খিলাড়ি

জাদুর পাহাড় আয়ারস রক: রঙ বদলের খিলাড়ি

Other

আয়ারস রক হচ্ছে বিশাল আকৃতির এক পাহাড়। এটি অন্যান্য পাহাড় থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। এ পাহাড়টির বিশেষত্ব হচ্ছে এটি ক্ষণে ক্ষণে রঙ বদলায়। সকালে এর এক রঙ তো দুপুরে আরেক।

এভাবে অষ্টপ্রহর রঙবদলের খেলায় মেতে থাকে এ পাহাড়। এই পাহাড়ের নাম আয়ারস রক। মানুষ এর নাম দিয়েছে যাদুর পাহাড়।  

ভৌগলিকভাবে আয়ারস রকের অবস্থান অস্ট্রেলিয়ায় নরদার্ন টেরিটোরিতে।

জায়গাটিকে সবাই উলুরু নামে চেনে। রহস্যে ঘেরা অদ্ভুত এই পাহাড়টি আসলে সম্পূর্ণ একটি প্রস্তর খণ্ড। এর গঠন কাঠামোই অদ্ভুত।  

সকালে সূর্যের রশ্মি পাহাড়ের গায়ে পড়লেই মনে হয় যেন আগুন ধরে গেছে এর গায়ে। রঙয়ের বিচ্ছুরণ হতে থাকে পাহাড় থেকে। সূর্য আলোর আপতন কোণের পরিবর্তনের সাথে পাল্লা দিয়ে ক্ষণে ক্ষণে এই পাহাড়ের রঙ পরিবর্তন হয়।  

পাহাড়ের রঙ হলুদ থেকে কমলা, পরে লাল ও মাঝে মাঝে বেগুনি আবার গাঢ় কালো রঙও ধারণ করে। সারাটা সময়জুড়ে সময় চলে এই রঙ বদলের খেলা। রঙ বদলের এই রহস্য যে কাউকেই মুগ্ধ করবে। রঙ বদলের কারণেই পাহাড়টিকে সবাই জাদুর পাহাড় বলে।
পাহাড়টির এমন অদ্ভুত রঙ বদলানোর রহস্য নিয়ে মতবিরোধ আছে অনেকের মাঝে। ধারণা করা হয়, রহস্য লুকিয়ে আছে পাহাড়টির ভৌগোলিক অবস্থানে। অনেকে বলে থাকেন, পাহাড়ের নিচে এক শক্তিশালী ম্যাগনেটিক ফিল্ড আছে যার কারণে বিভিন্ন কোণে সূর্যের আলো পাহাড়টির ওপরে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে পাহাড়ের রঙ বদল হয়।  

অনেক কল্পকাহিনীও প্রচলিত আছে এই পাহাড়টিকে নিয়ে। স্থানীয়রা বিশ্বাস করেন, এই পাহাড়ে আগে জাদুকররা বাস করত তারাই জাদু-মন্ত্র দিয়ে এমনটি করে গেছে। তবে এই পাহাড়ের রঙ বদলানোর আসল রহস্য কারো পক্ষে উদঘাটন করা সম্ভব হয়নি।  

বাইরে থেকে প্রতিনিয়ত বহু পর্যটক আসে পাহাড়টিকে দর্শন করতে। তাই অস্ট্রেলিয়ান সরকার পরিদর্শনের সুবিধার্থে পাহাড়ের আশেপাশে ৪৮৭ বর্গমাইল এলাকা জুড়ে মাউন্ট দ্য ন্যাশনাল পার্ক গড়ে তুলেছে। দূরবর্তী জায়গা থেকে ঘুরতে আসা পর্যটকরা যেটি থেকে খুব সহজেই আয়ারস রকের রূপসৌন্দর্য উপভোগ করতে পারে।

লেখক : হারুন আল নাসিফ : কবি, ছড়াকার, সাংবাদিক।

news24bd.tv/আলী