প্রকৃত আসামি পলাতক

নামের মিল থাকায় এক নারীর সাজা খাটছেন আরেকজন

Other

শুধু নামের একাংশের মিল থাকায় বিনা অপরাধে দেড় বছরের বেশি কারাভোগ করছেন টেকনাফের হাছিনা বেগম। চট্টগ্রামের কর্ণফুলী থানার এক মাদক মামলায় ৬ বছর সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ হয়েছিল টেকনাফের হাসিনা আক্তারের। সেই সাজা খাটছেন হাছিনা বেগম।  

সম্প্রতি চট্টগ্রামের আদালত মূল আসামির সাথে সাজাভোগকারীর ছবির মিল-অমিল তুলে ধরে প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দেন কারা কর্তৃপক্ষকে।

আহাদুল ইসলাম বাবুর ক্যামেরায় নয়ন র রিপোর্ট।

হাছিনা বেগম, পুলিশের কোন অপরাধি তালিকায় নেই তার নাম। অপরাধ এক আসামির নামের প্রথম অংশ ও তার স্বামীর নামের একাংশের সঙ্গে মিল। তাই ঠিকানা জেলখানা।

বন্দি আছেন দেড় বছরেরও বেশি সময়।

২০১৭ সালে ২৪ ফেব্রুয়ারী কর্ণফুলী থানার মইজ্জারটেকে ২ হাজার পিস ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার হয় হাসিনা আক্তার। ৯ মাস জেল খেটে জামিন নিয়ে নিরুদ্দেশ হয় সে। বিচারে ২০১৯ সালের ১ জুলাই ৬ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ঘোষণা হয় হাসিনা আক্তারের। কিন্তু ৫ মাস পর টেকনাফ থেকে গ্রেপ্তার করা হয় হাছিনা বেগম নামে একজনকে।  

হাছিনা বেগম প্রকৃত আসামি নয় বলে প্রতিবেদনও দিয়েছে টেকনাফ থানা পুলিশ। গোলাম মাওলা মুরাদ, হাছিনার আইনজীবী। শামীম নেওয়াজ,হাছিনা বেগমের ছেলে।

আইনজ্ঞরা বলছেন, আসামির পাশাপাশি এ ঘটনায় যারা জড়িত তাদেরও কঠোর শাস্তি দিতে হবে। মো. ফখরুদ্দিন চৌধুরী, পিপি,চট্টগ্রাম মহানগর।
 
এরকম বদলি সাজা খাটার আরো বেশ কয়েকটি ঘটনায় এরই মধ্যে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে চট্টগ্রাম আদালতে। এটিকে আইনের শাসনের জন্য অশনিসংকেত বলছেন বিশিষ্টজনরা।

news24bd.tv / কামরুল